রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬, ১০:০৫:১৪

‘জঙ্গিবাদে আমার অনুপ্রেরণা প্রদানের কথা বলেনি বাংলাদেশ’

‘জঙ্গিবাদে আমার অনুপ্রেরণা প্রদানের কথা বলেনি বাংলাদেশ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘জঙ্গিবাদ গ্রহণের জন্য আমার বক্তব্য অনুপ্রেরণা দিয়েছে’ বাংলাদেশের কোন কর্মকর্তা এমন দাবি করেনি বলে জানিয়েছে ভারতীয় ইসলাম প্রচারক ও পিস টিভির পরিচালক ডাঃ জাকির নায়েক। তিনি শনিবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, ঢাকায় নিরীহ কিছু মানুষকে হত্যার জন্য আমার বক্তব্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, এটা বিশ্বাস করে না তারা। এটা ভিন্ন বিষয় যে, সে আমার একজন ভক্ত।’
 
এই ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, বিশ্ব জুড়ে আমার কয়েক কোটি ভক্ত আছে। বাংলাদেশেরও অর্ধেকের বেশি মানুষ আমার ভক্ত। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিরীহ মানুষকে হত্যায় আমি উস্কানি দিচ্ছি এমন মন্তব্য করা নিশ্চিত ভাবেই শয়তানের প্ররোচনার মত।
 
এ সময় সংবাদে প্রকাশিত বিভিন্ন দেশে তার প্রচার নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জানা মতে একবার মাত্র একটি দেশ আমার প্রবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। দেশটি হল যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া অন্য কোন দেশ আমার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এমন কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আর মালয়েশিয়ায় আমার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যারা বলছেন, তারা বোকা ছাড়া আর কিছু নন। কেননা তিন বছর আগে আমি মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ পুরস্কার কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও তোকোহ মাল হিজরাহ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। বিগত ২৫ বছরের মধ্যে আমি চতুর্থ বিদেশি নাগরিক হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেছি। তারা কি এমন কাউকে পুরস্কৃত করবে, যে সন্ত্রাসবাদ ছড়ায়? আসলে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো কোন বাছবিচার ছাড়াই ঢাকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো ছাপিয়েছে।
 
ঢাকার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাকির নায়েকের বেশ কিছু বক্তব্যকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশে হওয়া দুইটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সেখানে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে উদ্বৃত্ত করে সেখানে বলা হয়, 'সে এখন আমাদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তার বক্তব্য যাচাই করে দেখছে।
 
এদিকে এ ঘটনার পর মহারাষ্ট্র সরকার জাকির নায়েকের গতিবিধির দিকে নজর রাখছে। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।  তার পাশাপাশি দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর নজরদারীর মধ্যে রয়েছে তার প্রতিষ্ঠিত এনজিও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তাদের ধারণা এই এনজিও যেই সকল ফান্ড লাভ করে তার অধিকাংশ অর্থ ইসলাম ভিত্তিক মৌলবাদী রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করা হয়। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
১০ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে