এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মেয়ের পরিবারের অনুমতি না নিয়েই ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে পালিয়েছিলেন তিনি। পরিণাম হল ভয়ঙ্কর। বাড়িতে ডেকে নাক-কান কেটে দেওয়া হল এক যুবকের। ঘটনাটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝাং জেলার।
২০ বছরের সামিনা (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল মুস্তাকের (নাম পরিবর্তিত)। আদতে তারা একে অপরের আত্মীয়। কিন্তু, সামিনার পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এরপরই দু’জনে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও পরে গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের সাহায্যে সামিনাকে ফিরিয়ে আনা হয় বাড়িতে। অভিযোগ, এরপরই মুস্তাককে গ্রামে নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত তার পরিবারের তরফে।
পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে সোমবার মুস্তাককে ফোন করেন সামিনা। জানান, অভিভাবকরা দু’জনের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন। তারা বিয়ে দিতেও রাজি হয়েছেন। এরপরই সামিনার টানে ছুটে আসেন মুস্তাক। কিন্তু, তিনি বুঝতে পারেননি তার সঙ্গে কী হতে চলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মুস্তাককে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর ছুরি দিয়ে তার নাক ও কান কেটে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবক।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে অনার কিলিং জাতীয় ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গেছে সম্প্রতি । গত বছর, প্রায় ১১০০ মহিলা ও ৮০০ পুরুষ অনার কিলিংয়ের শিকার হন।
১৩ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস