আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে সেনাবাহিনীর একটি অংশ ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সার্বিক ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে এবং দেশটির ক্ষমতাসীন একে পার্টির ইস্তাম্বুলস্থ হেডকোয়ার্টার সেনাবাহিনীর সদস্যরা দখলে নিয়ে নিয়েছে।
বিনালি ইয়ালদ্রিম বলেছেন, সেনাবাহিনীর একাংশের এ কর্মকাণ্ড বৈধ নয়। আর এটাকে কোনো সেনা অভ্যুত্থান বলা যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার এখনো ক্ষমতায়।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন অনুমতি ছাড়াই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই অভিযান শুরু করেছে। তবে এটা কোন অভ্যুত্থান নয়। টার্কিশ সরকারে কোন পরিবর্তন হয়নি বলেও তিনি জানান।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গোলাগুলির হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইস্তানবুলের পুলিশ সদর দপ্তর এলাকাতেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ইস্তানবুল বিমানবন্দরের বাইরে ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে।
এনটিভি টেলিভিশনকে টেলিফোনে ইয়ালদ্রিম বলছেন, কোন একটি চেষ্টার সম্ভাবনার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এ ধরণের কোন চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।
সেনা সদরদপ্তরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তুর্কি সেনাপ্রধান। দেশটির প্রেসিডেন্টের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমন কোনো বিবৃতি দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, টেলিভিশনে ঘোষণায় সেনাবাহিনীর ওই অংশটি বলেছে, এই সরকার তুরস্কের গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা মুছে ফেলেছে। দেশ এখন একটি ‘পিস কাউন্সিল’ এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যতো দ্রুত সম্ভব একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে একটি টেলিভিশন ঘোষণায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দাবি করেছে, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইস্তানবুলের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের ব্রিজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং আঙ্কারার উপর নিচু দিয়ে বিমান উড়ছে।
১৬জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস