আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে একসময় ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থান হলেও রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলেই মনে করা হচ্ছিল। তারপরেও শুক্রবার অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানো হয়। এখন প্রায় সকলের আগ্রহের কেন্দ্রস্থলে কারা জড়িত তুরস্কের এই সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে?
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানবাহিনীর একটি অংশই এই চেষ্টায় অংশ নেয়। তারা সেনাপ্রধানকেও আটক করেছিল। কিন্তু সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর বড় অংশ এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে তারা ব্যর্থ হয়। তাছাড়া এরদোগান এবং তুর্কি সরকারের সাহসী চেষ্টা, জনগণের রাস্তায় নেমে আসাতেও বিদ্রোহীদের মনোবল ভেঙে যায়।
এছাড়া, সাধারণ মানুষের অনেকে রাস্তায় মোতায়েন বিদ্রোহীদের সামরিক যানে চড়ে বসে। তাদের হাতে তুর্কি এবং একেপির পতাকা শোভা পাচ্ছিল। জনতাকে দেখে অনেক সৈন্যও বিদ্রোহ ছেড়ে তাদের সাথে যোগ দেয়।
বিদ্রোহীরা দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফেতেহউল্লাহ গুলেনের সমর্থক বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অভ্যুত্থানের সময় একটি সামরিক হেলিকপ্টার হামলায় ১৭ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত একটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে একটি সামরিক বিমান।
১৬ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ