আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পর বিদ্রোহী এক সেনা সদস্যের শিরশ্ছেদ করেছে করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতাসীন জাস্টিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) সমর্থকরা! এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
টুইটারে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে ইস্তাম্বুলের বসফরাস সেতুর ওপর এক সেনার মস্তকবিহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একেপি সমর্থকরা তার শিরশ্ছেদ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একেপি ইসলামঘেঁষা বলে অনেক সমালোচক দাবি করেন। তুরস্কের দলটির প্রায় দেড় দশকের শাসনে অর্থনীতি মজবুত হওয়ায় দলটির প্রতি দেশটির রক্ষণশীল জনগণের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।
শুক্রবার রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। ওইদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনী রাজপথে অবস্থান নেয়। তারা ইস্তাম্বুলের বসফরাস ও সুলতান মেহমুত সেতুর ওপর অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
সিএনএন-তুর্ক টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টির ইস্তাম্বুলের দফতরেও হানা দেয় বিদ্রোহী সেনা সদস্যরা।
এ সময় উপকূলের শহর মারমারিসে অবকাশে থাকা এরদোগান অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই স্মার্টফোনে দেয়া এক ভাষণে জনগণকে এ অভ্যুত্থান প্রতিরোধে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
শনিবার ভোরে বিদ্রোহী সেনারা আত্মসমর্পণ করে।
অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে ২৮৩৯ সেনাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বেনালি ইলদিরিম।
অভ্যুত্থানের পর তড়িঘড়ি করে ইস্তাম্বুল পৌঁছে এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, সেনাবাহিনীর ক্ষুদ্র একটি দল অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল, তারা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে, এজন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।
১৭ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম