আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে বিশ্ববাসী আতঙ্কের মধ্যে আছে। এ অবস্থায় এবার আর্মেনিয়ার ইয়েরেভানের একটি পুলিশ স্টেশনে অস্ত্রধারী একটি দল হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে একজনের নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
হামলাকারীরা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি করেছে। হামলাকারীদের প্রচারিত ভিডিওতে বিরোধী নেতা জিরাইর সেফিলিয়ানসহ অন্য কয়েকজন বন্দির মুক্তি চাওয়া হয়েছে। একই ভিডিওতে তাদের সমর্থকদের রাস্তায় নামারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট সার্জ সারকিসিয়ানের কট্টর সমালোচক বিরোধী নেতা সেফিলিয়ান। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন সেফিলিয়ান।
আর্মেনিয়ার সিভিলনেট নিউজ পেপার হামলাকারীদের ‘ডেয়ারডেভিলস অব সাসৌন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হামলাকারীরা তাদের প্রচারিত ভিডিওতে বলেছে, ‘প্রিয় বন্ধু, দেশের নাগরিক ও আর্মেনীয় জাতি, শুরু হয়েছে গেছে, যা আমরা আপনাদের জন্য করছি... আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন।’
সিভিলনেট জানিয়েছে, হামলাকারীরা পুলিশ স্টেশনে সাতজনকে জিম্মি করেছে। তবে এ তথ্য নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলাকারী দলটি হুমকি দিয়েছে, তাদের ওপর যদি হামলা হয় তাহলে প্রতিশোধ নেব। তবে আত্মসমর্পণের কোনো ইচ্ছা নেই হামলাকারীদের।
আর্মেনিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে এ হামলার ঘটনাকে গুজব বলে দাবি করেছে। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলটির সমর্থকরা গণমাধ্যম ও সামাজিক নেটওয়ার্কে সশস্ত্র বিদ্রোহ ও ভবন জিম্মায় নেয়ার ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বিদ্রোহী দলটি পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করতে যাওয়ার পর এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে কঠোর হাতে দমন করা হবে। উস্কানিদাতের শাস্তি দেয়া হবে।
এদিকে এক পুলিশ কর্মকর্তার নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। দুজন জিম্মিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আর্মেনিয়ায় ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত শাসন শেষ হওয়ার পর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এ বছরের এপ্রিল মাস থেকে ওই অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ঘটেই চলেছে।
১৭ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম