আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি শাসনকালের প্রথম দুই বছরে এত বেশি মুসলিম দেশ সফর করেছেন। এর ফলে ভারতের সঙ্গে ওই দেশগুলোর সম্পর্কের উন্নতি হবে। জেদ্দা থেকে টেলিফোনে এক সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বললেন মুসলিম ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক। তার বক্তব্য, মোদির এইসব সফরের ফলে এ দেশেও হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের উন্নতি হবে, আর তা-ই যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হয়, তবে তার পাশে রয়েছেন জাকির নায়েক।
জাকিরের বক্তব্য, হিন্দু ধর্ম বিশ্বে একটি অন্যতম বৃহৎ ধর্ম, ভারতে বহু মুসলিম রয়েছেন। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি মুসলিম দেশগুলোর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান, তাহলে সবদিকে সুবিধে হবে। দেশে বিনিয়োগ তো আসবেই, এই সব দেশের সাহায্যে ভারত সুপারপাওয়ারও হয়ে উঠতে পারে।
জাকির নায়েক কবে দেশে ফিরছেন? এ প্রশ্নের অবশ্য তিনি স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি। শুধু বলেছেন, ভারত সরকার চাইলেই তিনি দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ নিষিদ্ধ করলেও তিনি চান, ভারতে বড় করে শুরু হোক পিস টিভি। ২০০৫, ‘১০ ও ‘১২-য় সম্প্রচারের অধিকার চেয়ে আবেদন করেন তারা। কিন্তু আগের সরকার বারবার নিরাপত্তাগত কারণ দেখিয়ে তা ফিরিয়ে দেয়। তার আশা, নয়া সরকার পিস টিভি সম্প্রচারে অনুমতি দেবে।
ইসলামিক স্টেটের নিন্দায় অবশ্য কসুর করেননি বিতর্কিত এই ধর্মপ্রচারক। তার দাবি, জিহাদ মানে সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে লড়াই করা, পাশাপাশি, আত্মরক্ষাও। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিহাদকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে অমুসলিমদের ভয় পাইয়ে দিয়েছে।
ডাঃ জাকির নায়েকের দাবি, আইএসের কার্যকলাপ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আইএস-কে অ্যান্টি-ইসলাম স্টেট বলেও জাকির নায়েক দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলায় উঠে আসে জাকিরের নাম। জানা যায়, ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিরা জাকিরের বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়েছিল। অবশ্য জাকিরের দাবি, এসব অভিযোগ মিথ্যে। ভারতীয় মিডিয়া ইচ্ছে করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
২২ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই