শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬, ০৫:০৫:০৭

৭ ঘণ্টায়ও ধরা পড়েনি মিউনিখের হামলাকারীরা

৭ ঘণ্টায়ও ধরা পড়েনি মিউনিখের হামলাকারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার সন্ধ্যায় জার্মানির মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং মলে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের হামলার ৭ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হামলা চালানোর ৭ ঘণ্টা পরেও বন্দুকধারীদের ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ধারণা, একাধিক বন্দুকধারী সম্ভবত তিনজন স্থানীয় সময় ৬টার দিকে বিপণিবিতানের ভিতরে ও বাইরে লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

তারা মনে করছেন, বিপণিবিতানের ভিতরে ম্যাকডোনাল্ডসে প্রথম গুলি হয়। তবে কাছাকাছি দুটি রাস্তায়ও গুলি হয় বলে প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকেও কর্তৃপক্ষ ওই বিপণিবিতান থেকে লোকজনকে উদ্ধার করছিল। তবে সে সময়ও সেখানে অনেকে লুকিয়ে ছিলেন বলে শোনা গেছে।

মিউনিখের প্রধান রেল স্টেশন থেকেও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

হামলায় সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হামলার পর সোস্যাল মিডিয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন আইএস সমর্থকরা।

পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, হামলার পর তিন বন্দুকধারী পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের খোঁজে থাকায় শহরটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা মিউনিখের বাসিন্দাদের বলছি, গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, যারা বিপজ্জনক। আমরা লোকজনকে ঘরের মধ্যে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

পুলিশ সূত্রের খবর, হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন এবং অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। তারা এটাকে সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে দেখছেন। নবম একটি মৃতদেহও পাওয়া গেছে এবং সেটি কোনো হামলাকারীর কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

হামলার খবর জানাজানি হওয়ার পর আইএস সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করে “আল্লাহ শুকরিয়া, আল্লাহ আমাদের ইসলামিক স্টেটের লোকদের সমৃদ্ধি দাও,” টুইট করেছে। আরেক টুইটে বলা হয়, “ইসলামিক স্টেট ইউরোপে বিস্তৃত হচ্ছে।”

এদিকে, হামলার পার যখন আতঙ্কে পুরো মিউনিখের নগরবাসী, তখন তারাই শহরে আটকে পড়া মানুষদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন নিজের বাড়িতে থাকার৷ এ যেন মানবতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত৷

হামলার ঘটনার পর মিউনিখে ট্রেন, বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার পর শহরে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ৷ আর তাদের জন্য টুইটারে ‘#offenetuer #opendoor' হ্যাশট্যাগ চালু করেছেন মিউনিখবাসী৷ নির্দ্বিধায় নিজেদের বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা৷

২৩ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে