শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬, ০১:৩৮:৫৭

এটা কি প্রাইমারি স্কুল নাকি গোয়ালঘর?

এটা কি প্রাইমারি স্কুল নাকি গোয়ালঘর?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সরকারি পয়সায় বানানো স্কুল। কিন্তু তাকে এখন গোয়ালঘর বললে ভূল হবে না। ভরা ক্লাসরুমে যখন পড়তে ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা, তখন ফাঁকা ক্লাসরুমে কখনও সখনও গরু-মহিষ বাঁধা থাকে। আরও আছে।

অভিযোগ, স্কুলকে স্কুল বলে মানেন না শিক্ষকরা। স্কুলটা যেন তাদের মামার বাড়ি। ছাত্রসংখ্যা নেহাত কম নয়, ৪৩৭ জন। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকা মাত্র ৩। তারমধ্যে প্রধান শিক্ষক নাকি স্কুলমুখোই হনই না। বাকি দু’জন পালা করে স্কুলে আসেন।

এবারও ঘটনাস্থল ভারতের সেই বিহার। সীতামারির শোনবর্ষার খাইরাটোলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবিটা এরকমই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুন্না কুমার একজন সমাজবিরোধী গোছের লোক। তিনি কোনও দিন স্কুলে আসেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেন গোয়ালঘর হিসেবে। তার বিরুদ্ধে অভিভাবকরা ক্ষোভ উগরে দিলেও ফল হয়নি।

বরং উল্টে সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় পোয়া বারো অপর দু’জনের। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন শিক্ষিকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পালা করে স্কুলে আসেন তাঁরা। ফলে লাটে উঠেছে পড়াশোনা।

অভিযোগ পেয়ে আচমকা স্কুলে হানা দেন শোনবর্ষার ব্লক কর্মকর্তা ব্রিজেশ কুমার ও শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা অরুণ কুমার ঠাকুর। তারা গিয়ে যা দেখেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ। স্কুলের সামনের মাঠ তো নয়, যেন গোরুর খাটাল।

ছোটো ছোটো খুঁটি (গরু বাঁধা থাকে যে খুঁটিতে) গাড়া। পরে ক্লাসরুমে যান তারা। ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষিকা। কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, ব্যাকরণ জানেন? শিক্ষিকার মুখ দেখে মনে হয়নি তা। স্কুলের পুরো বেহাল অবস্থা দেখে মাথায় হাত পড়ে সরকারি কর্মকর্তাদের।

এদিকে, ঘটনা সামনে আসায় আবারো প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিহারের শিক্ষাব্যবস্থা।  

২৯ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে