আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজেদের ইচ্ছায় ইসলামগ্রহণ করে ভারতের ২৫০ পরিবার। ভারতে দলিত জনগোষ্ঠীর ওপর কট্টরপন্থিদের অত্যাচার চলে। আর দলবেঁধে দলিত হিন্দু পরিবারের ইসলাম গ্রহণের দিকে নিয়ে যায় এই অত্যাচার।
এবার মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ুর ২৫০ দলিত পরিবার। নিজেদের ইচ্ছায় ইসলামগ্রহণ করা সেই হিন্দুদের হাতে হাতে এখন পবিত্র কোরআন শরিফ।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলিতদের ওপর কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আক্রমণ বেড়েই চলছে। গুজরাটের উনা, তামিলনাড়ুতে এমন খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। এর পরিণতিও হচ্ছে মারাত্মক। এরপরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের টনক নড়ছে না। এ পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করছেন ভুক্তভোগীরা।
গত বছর হারিয়ানায় প্রায় ১০০টি দলিত পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। এমন ঘটনার নজির থাকা সত্ত্বেও দলিতদের ওপর অত্যাচার কমছে না৷
গুজরাটের উনার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যত শোরগোলই ফেলুক, বাস্তবের ছবিটা কিন্তু তেমন বদলায়নি। তাই স্বধর্মের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অন্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গ্রহণ করছেন নিপীড়িত দলিতরা।
এবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর বেদারণ্যম ও কারুর জেলায়৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বেদারণ্যমে এক মন্দিরে ঢুকতে প্রায় ২০০ দলিত পরিবারকে বাধা দেয়া হয়। দলিতদের অভিযোগ, বরাবরই তাদের প্রতি এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। একই চিত্র কারুর জেলাতেও। স্থানীয় মহাশক্তি মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি ৩৫টি পরিবারকে।
এমন পরিস্থিতিতে এক ইসলামিক সংগঠন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন দলিতরা। এই বিষয়ে তামিলনাড়ুর তাওহিদ জামাতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে কারুর গ্রামের ছয়টি দলিত পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ওদের সব রকম মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তাদের মানবাধিকার ও সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হতে দেওয়া হবে না বলেও আমরা ওদেরকে জানিয়েছি।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর দলিত জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তি বলেছেন, আমাদের কেউ জোর করেনি। আমরা শান্তির জন্য নিজেরাই ইসলাম গ্রহণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। তিনি আরও জানান, ভেদারনইয়ামে মহাশক্তি মন্দিরটি আমাদের পূর্বপুরুষের সাহায্যে তৈরি। কিন্তু এখানে আমাদেরই প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে কেউ আমাদের সাহায্যর জন্য এগিয়ে আসেনি।
এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর