মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০৮:২১

এ কান্না আনন্দের

এ কান্না আনন্দের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজন আরেক জনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। তবে এই কান্না বেদনার নয়, আনন্দের। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জার্মানির লুইবেক। সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন। তাদেরকে দেখে আনন্দ কান্না হয়ে বেরিয়ে এলো সিরিয়ার শরণার্থী ইহাবের।

লুইবেক রেল স্টেশন। সেখানে প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে আছেন তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাদেরকে দেখেই ইহাব চিৎকার করে উঠলেন- আম্মি, আম্মি। কিভাবে তিনি ট্রেন থেকে নেমে এলেন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তা একমাত্র তিনিই জানেন।

প্লাটফরমে দাঁড়ানো আত্মীয় মানে তার পিতা-মাতা। তাদেরকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদলেন ইহাব, তার স্ত্রী আবীর ও দু’কন্যা। এ এক অন্য রকম মিলনমেলা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের কাহিনী।

কয়েকদিন আগে জার্মানির লুইবেকে আশ্রয় পেয়েছেন ইহাবের পরিবারের অন্য সদস্যরা। তারা মনে প্রাণে চাইছিলেন ইহাবও তাদের সঙ্গে এসে যোগ দিক। যখন সেই স্বপ্ন সত্যি হলো তখন আনন্দ প্রকাশ পেলো কান্নায়।

গ্রিসের ভূমধ্যসাগরীয় এক দ্বীপ থেকে জার্মানির বালটিক উপকূলে পৌঁছে ইহাকের পরিবার। এতে তাদেরকে বড্ড বেগ পেতে হয়। সিরিয়া থেকে সাগর, উপসাগর পাড়ি দিতে হয়েছে তাদেরকে জীবন বাজি রেখে। অবশেষে সেই ঠিকানা যেন খুঁজে পেয়েছে তারা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে