আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
কয়েক মাস কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকার পর সোমবার তালেবানরা ৩ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহরটি দখল করে নেয়।
তালেবানরা কয়েক দিক থেকে হামলা শুরু করলে সরকারি সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তালেবানরা শহরটির কারাগারে বন্দি শত শত লোককে ছেড়ে দিয়েছে।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, মাত্র ৫০০ তালেবান জঙ্গি এই অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় সেখানে হাজার হাজার সৈন্য এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা অবস্থান করলেও তাদের ঠেকাতে পারেনি।
স্থানীয় একজন জেলা গভর্নর জালমাই ফারুকী সোমবার বলেন, ওই এলাকায় সে সময় ৭০০০ সরকারি সেনা ছিল।
ফারুকী বলেন, ‘সমস্যা নিরাপত্তা বাহিনীর অভাব নয়, এসব লোকদের (সৈন্যদের) কমান্ড দেয়ার মত যোগ্য নেতৃত্ব নেই।’
আফগান কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তারা পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং কুন্দুজে বিমান হামলা চালানোর পর কমান্ডো মোতায়েন করা হবে।
কুন্দুজ দখলের পর এক বিবৃতিতে তালেবানরা বলেছে, তারা কোনো লুটতরাজ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাযজ্ঞ চালাবে না।
তবে সরকারি ভবনে আগুন দেয়ার এবং জুয়েলারির দোকান লুটপাটের কথা জানা গেছে। অবশ্য লুটতরাজে কারা জড়িত তা স্পষ্ট নয়।
কুন্দুজ দখল কয়েক বছরের মধ্যে তালেবানের সবচেয়ে বড় বিজয়।
তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে এ শহরটি ২০০১ সালের আগে পর্যন্ত তালেবানের প্রধান ঘাঁটি ছিল। কুন্দুজ এমন কিছু রাস্তার সংযোগস্থলে অবস্থিত - যার সাথে আফগানিস্তানের সব অংশের যোগাযোগ রয়েছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস