আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজস্থানের জয়পুরের হিনগোনিয়ায় একটি গো-আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২৫০জন কর্মী কাজ করেন৷ তারা গতমাসে তাদের ন্যায্য টাকা দেয়া হচ্ছে না বলে ধর্মঘট শুরু করেন৷ তারপর থেকেই কর্মীরা গরুগুলিকে খাওয়ানো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়৷ এমনকি তাদের থাকার জায়গাটাও পরিস্কার করেনি৷ এদিকে ভারি বৃষ্টিতে তাদের থাকার জায়গাটিতে পানি আটকে যায় এবং গোবর জমে একটা অস্বাস্থ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়৷ গরুদের থাকার জায়গাটি পুরোপুরি জঘন্য ও অপরিস্কার হয়ে যায়৷ আর এতে আটকে ও অনাহারে ৫০০ গরু মারা গিয়েছে৷
সরকারিভাবে কতগুলো গরু মারা গিয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি৷ তবে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা গরুগুলিকে উদ্ধারের কাজে এগিয়ে এসেছিল তাদের কিছু ভলেনটিয়ার জানিয়েছেন যে তারা প্রায় ৯০টি গরুর মৃতদেহ সরিয়েছেন, তবে ওখানে আরো অনেক মৃত গরু পরে আছে বলেও তারা জানিয়েছেন৷ জানা গিয়েছে ওই গোশালায় মোট ৮০০টি গরু থাকত৷ সরকারি পশুচিকিৎসক ড: দেবেন্দ্র কুমার যাদব জানিয়েছেন, এখানকার বেশিরভাগ গরুই না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছে, কোনোরকম রোগ তাদের ছিল না৷
গরুর আশ্রয়স্থলের সভাপতি ভগবত সিং দেওয়াল জানিয়েছেন, এখানে কর্মরত কর্মীরা মে মাস থেকে কোনো বেতন নেয়নি৷ তারা কোনো কাজও করেনি, তাহলে ওরা কীকরে আশা করছে আমি ওদের সমস্যার সমাধান করে দেব৷ ওরা বেশি বেতনের দাবীতেই ধর্মঘট করছে, কিন্তু বছরে ২০ কোটি টাকাই ওদের জন্য ধার্য্য করা হয়েছে, এর বেশি আমি কিছুই করতে পারবো না৷
গো-আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে জয়পুর পৌর সংস্থার বেতন নিয়ে ঝামেলাই একসঙ্গে অত গরু মরে যাওয়ার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন গো-আশ্রয়কেন্দ্রের সভাপতি ভগবত সিং দেওয়াল৷ ঝামেলার জেরে গো-আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মীরা প্রায় ৮০০ গরুকে খেতেও দেয়নি৷ তাই আনাহারেই এদের প্রাণ হারাতে হলো৷
জয়পুরের স্থানীয় সংবাদমাধম সূত্রে জানা গিয়েছে,হাইকোর্ট এই নিয়ে একটি রিপোর্ট সরকারের কাছ থেকে চেয়েছে৷ ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এই বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। রাজস্থানের মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং রাঠোর এই বিষয়টির তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়টির তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
৬ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই