সোমবার, ০৮ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:০৯:৫৭

‘মোদি আঙ্কেল, আমার বাবাকে খুঁজে দিন’

 ‘মোদি আঙ্কেল, আমার বাবাকে খুঁজে দিন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১২ বছর কেটে গেছে।  এখনো একটা ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে আদ্যা।  তার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসাররাও।

জন্মের পর থেকে বাবা কোথায় তার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি কেউ।  তাই অবশেষে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি।  সে শুনেছে, মোদি আঙ্কেল নাকি সবার চিঠির উত্তর দেন।  তাই এ প্রশ্ন নিয়ে মোদিকেই চিঠি লিখেছে আদ্যা।

দিল্লির জনকপুরীর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ক্লাস এইটে পড়ে আদ্যা।  মায়ের সঙ্গেই থাকে।  বাবা সঞ্জয় কুমার ঝা ছিল ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার।

সে যখন জন্মায়, ২০০৪ সালে তার বাবা পাঠানকোট এয়ারবেসে পোস্টেড ছিলেন।  এটুকুই সে জানে।  তার ঠাকুমা প্রত্যেকদিন চোখে জল নিয়ে তাকে বলেন, ‘চিন্তা কোরো না।  একদিন বাবা ঠিকই ফিরে আসবে।’

এবার বাবাকে খুঁজে দিতে সরাসরি মোদি আঙ্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে।  টিভিতে খবরে দেখেছে মোদি সবার চিঠির উত্তর দেন।  তাই তার বিশ্বাস বাবাকেও খুঁজে দিতে পারেন মোদি।

চিঠিতে সে লিখেছে, ‘মোদি আঙ্কেল।  আমি জানি না কেন, মা যখন সিঁদুর পরে তখন কাঁদে।  আমি কখনো আমার ঠাকুমাকে হাসতে দেখিনি।  দাদাজি সবসময় কি যেন ভাবে।  কথা বলে না।  নানাজি আর আঙ্কেলকে দেখেনি বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ চেয়ে চিঠি লিখতে।  তাই আমি ঠিক করেছি আপনাকে লিখব।  

মোদি আঙ্কল, আমিও আমার বাবার সঙ্গে খেলতে চাই।  আমার বন্ধু রানীর মত।  আমার আঙ্কেলকে বলব এই চিঠি পাঠিয়ে দিতে।’

১৯৯৭-এ এয়ারফোর্সে যোগ দেন সঞ্জয় ঝা। ২০০৪-এ পাঠানকোট এয়ারবেসে ১২৫ হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে কাজ করতেন তিনি।  ওই বছরের ১২ নভেম্বর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

তাকে আর কেউ কখনও দেখেনি।  মামলা হয়েছে। কিন্তু খুব বেশি কিছু জানা যায়নি।  এমনকি এয়ারফোর্স তাদের রিপোর্টে ঝা-কে ‘পলাতক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আদ্যার মা এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।  তিনি জানান, ‘১২ বছর ধরে অপেক্ষা করে চলেছি।  জানি না কোথায় গেছে, কি হয়েছে।

সরকারকে আবার আবেদন, আমার স্বামীকে খুঁজে দিন।  সিবিআইকে বলুন খুঁজে দিতে।
৮ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে