সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬, ০২:০৩:৩৮

মুম্বাইয়ের ফুটপাথ থেকে বলিউডের মঞ্চে আজও অবিচল জনি

মুম্বাইয়ের ফুটপাথ থেকে বলিউডের মঞ্চে আজও অবিচল জনি

বিনোদন ডেস্ক : হাসতে সবাই পারে, কিন্তু সারল্যের মুখে হাসি ফোঁটাতে কয়েকজনই পারেন৷ এই পারঙ্গমদের তালিকায় উপরের সারিতেই হামেশা থাকবে তার নাম৷ জনি লিভার৷ নিছক কৌতুক অভিনেতার সংজ্ঞায় আবদ্ধ নেই এই নাম৷ বলিউডের ইতিহাসের এক অধ্যায় হিসেবে উচ্চারিত হয় আজও৷

অর্থের অভাবে ক্লাস সেভেনের বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি৷ বাড়ির বড় ছেলে, তাই সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল জনিকেই৷ রোজগারের সন্ধানে পেন বিক্রি করতেন মুম্বাইয়ের রাস্তায়৷ অভিনব ছিল তাঁর বিক্রির আন্দাজ৷ বলিউড তারকাদের নকল করে বেচতেন একটার পর একটা পেন৷

নকলের এই দক্ষতাই তাঁকে নিয়ে এসেছিল স্ট্যান্ড আপ কমেডির মঞ্চে৷ বলিউডেও সমাদৃত হল সাম্ভর-রাইস খাওয়া তেলুগু লোকটার কদর৷ তিনশ’রও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ বেশিরভাগ সময় নায়ককে ছাপিয়ে জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের মন৷

ষাট ছুঁয়েও অবিচল হাস্যরসের এই ধারা৷ তবুও পর্দার চেনা মানুষটার আজও অনেকটাই অচেনা আমাদের কাছে৷ উনষাটতম জন্মদিনে রইল তারই কিছু সুলুকসন্ধান৷ চেনা জনি লিভারের কিছু অচেনা তথ্য৷

* রোজ সকালে উঠে নিয়ম করে ক্রসওয়ার্ডের ধাঁধার সমাধান করা অভ্যাস তার৷

* পর্দায় যতই লোক হাসান৷ বাস্তব জীবনে বেশ কড়া বাবা জনি৷ বিশেষ করে নাকি নিজের মেয়ের ক্ষেত্রে৷

* বাবা হিন্দুস্থান লিভারে অপারেটরের কাজ করতেন৷ সেখানেই সমস্ত অফিসারদের নকল করে দেখাতেন জনি৷ সেই থেকেই জনি রাও হয়ে ওঠেন জনি লিভার৷

* শরীর চর্চা তার একদম অপছন্দ৷ কিন্তু, এখনো স্টেজ শোয়ের দুই দিন আগে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন৷

* খেতে ভীষণ ভালবাসেন জনি৷ সবচেয়ে পছন্দের খাবার সাম্ভর-রাইস৷ বিদেশে গেলেও দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের রেস্তোরাঁ খোঁজেন৷

* এখন মার্সিডিজ চালান৷ এটি তাঁর বড় পছন্দের গাড়ি৷ কারণ জীবনের অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই স্টিয়ারিংটা হাতে পেয়েছেন৷

* সময় নিয়ে ভীষণ খুঁতখুঁতে জনি৷ কোথাও যাওয়ার থাকলে তিন ঘণ্টা আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেন৷ শুটিংয়ে আজও ঘণ্টা খানেক আগেই পৌঁছান৷ কারণ অভিনয় তাঁর কাছে আজও ‘সিরিয়াস বিজনেস’৷ -সংবাদ প্রতিদিন

১৫ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে