বিনোদন ডেস্ক: সে এক সময়ে গিয়েছে বটে! রাস্তাঘাটে-দোকানবাজারে-এমনকী শ্মশানঘাটেও নিরলসভাবে বেজে যেত সেই গান। মাইকে, অ-মাইকে, সুরে, অ-সুরে পাবলিকে আউড়ে যেত— ‘ডি-সে হোতা হ্যায় ড্যান্স’ অথবা ‘কঁহি ধুয়াঁ আহা নাচে নাচে’। কেবল গান নয়, তার সঙ্গে সেই গানের আবহও মুখস্ত করে আউড়ে যেত সারাদিন বহু লোক। ট্রামে-বাসে প্রায়শই শোনা যেত— ‘উব্ উব্’, ‘ক্যাকাও ক্যাকাও’, ‘গিব গিব’। সে কাল মিঠুনের কাল। ছোকরারা তখন লাইন দিয়ে সেলুনে গিয়ে কামিয়ে ফেলছেন বচ্চন-প্রেরণায় রাখা লম্বা জুলপি। যেন নিমাই সন্ন্যাস নিচ্ছেন মাথা মুণ্ডণ করে। সে এক গভীর তিতিক্ষা। সইতে হচ্ছে বাড়ির গালাগাল। কিন্তু সবার উপরে মিঠুন সত্য তখন, তাহার উপরে বাপ্পী লাহিড়ি। শুনশান রাতের রাহী কুকুর তাড়াতে আপন মনে গেয়ে যান— ‘জিমি জিমি জিমি, আ যা আ যা আ যা’। ফুটপাথে শুয়ে থাকা জিমি নামক সারমেয়টি সেই গানে ‘ঔ-উ-উ-উ’ করে সাড়া দিত কি না আজ অনেকেরই মনে নেই। কিন্তু গানটি কোনও মতে বেঁচে গিয়েছে স্মৃতিতাড়না আর ইউটিউবের দৌলতে।
পার্বতী খান তখন পপ দিগন্তের উদীয়মানা তারকা। তাঁকে দিয়েই বাপী লাহিড়ি গাইয়েছিলেন ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবির ‘জিমি জিমি’ গানটি। জার্মান পপ ব্যান্ড ‘মডার্ন টকিং’-এর ‘ব্রাদার লুই’ গানটির দ্বারা অনুপ্রাণীত সেই ‘জিমি’-সংগীতের জনপ্রিয়তা আজকের নব্যপ্রজন্মকে বুঝিয়ে বলা দুরূহ। কিন্তু এর মহিমা বুঝেছেন সুদূর ইউক্রেনের বাসিন্দারা। তাঁরা ‘জিমি জিমি’-র এক ইউক্রেনি ভার্সন বানিয়ে তার ভিডিও আপলোড করেছেন ইউটিউবে। এখানে ‘ব্রাদার লুই’ নয়, তাঁরা প্রাণপণে ‘জিমি জিমি’-ই গেয়েছেন। তার সঙ্গে জুড়েছেন নিজেদের লিরিকও। সঙ্গে ফাউ, বলিউডি লটক-ঝটক। সবমিলিয়ে খেলা জমজমাট।
এতে কার কী লাভ হল জানা নেই। কিন্তু এই ভিডিও যে ১৯৮০-র দশকে কৈশোর পেরনো প্রজন্মকে এক্কেবারে পেড়ে ফেলল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা নেই মিঠুন চক্রবর্তী এই খবর রাখেন কিনা। স্ক্রিন থেকে প্রায় অবসিত প্রৌঢ় খুশি হতেই পারেন রাজ কপূরের পরে তাঁর ইউক্রেনি জনপ্রিয়তা দেখে। -এবেলা
২২ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর