রিমন মাহফুজ, টোকিও থেকে: ‘সাউন্ড অব ওয়েইবস’-এর পর বিশাল এক অনুপস্থিতি শেষে ছবি বানানোর কাজে ফিরেছেন কাজি শিনদো। ২০০০ সালে এ কাজে অভিষেক ঘটেছিল তার। এরপর একটি কি দু’টি ফিচার বানিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি কিংবদন্তী স্ক্রিনরাইটার-পরিচালক দাদা কানেতো শিনদোর সহযোগিতায় লেগে যান। ‘চিলড্রেন অব হিরোশিমা’, ‘দ্য ন্যাকেড আইল্যান্ড’, ‘অনিবাবা’ কিংবা ‘কুরোনেকা’র জনক শিনদোকে কে না চেনেন!
আও ইতো ও ইনদি কুইনের মতো নতুন তারকাদের সঙ্গে তার স্ক্রিনিংয়ের পর প্রশ্নোত্তরে হাজির হয়ে শিনদো ছবির বিষয়-আশয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি সোজাসাপ্টা বললেন, ‘টিআইএফএফ-এর প্রথমবারের মতো ছবি উপস্থাপন করতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি আমি।’
‘সাউন্ড অব ওয়েইবস’-এর কাহিনী ওকিনাওয়া-ভিত্তিক। বড় শহরটির অসুখী ভায়োলিনবাদক ও এক অতিমাত্রার স্পর্শকাতর শিশুর সম্পর্ক নিয়ে এর কাহিনী গড়ে উঠেছে। একটি ছোট্ট দ্বীপে চিত্রায়িত হয়েছে ছবি; যেখান থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে বাস করেন উমি। ছোট্ট বালিকা উমি। সে তার দাদার সঙ্গে বাস করে সেখানে। উমির শোনার স্পর্শকাতরতা অতিমাত্রার। বড় করে কিছু বাজলে কিংবা উঁচু কথায় তার ভয় ধরে যায়। উমির যদিও ইয়ারমাফস প্রটেক্ট আছে, তবু বড় শব্দ তাকে অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে। হরেক রকমের সমস্যার সৃষ্টি করে। সেখানেই টোকিও থেকে ভায়োলিনবাদক ইউকো আসেন এক কনসার্টে। এই ইউকো আর উমির সম্পর্ক নিয়ে এই চলচ্চিত্র। অসাধারণ।
এর কাহিনীর মধ্যে চলে এসেছে রাজনীতিও। মার্কিন বিমানের উঁচু শব্দে চমকে উঠত উমি। কুঁকড়ে গিয়ে দু’কানে হাত দিয়ে রাখতে হতো তাকে। এ পরিস্থিতি দর্শককে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের চলমান সমস্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
ছবির শিল্পমাত্রা এতই উঁচু যে, যে কেউ ছবিটিতে চোখ রাখলে আর ফেরাতে পারবেন না।
১৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস