বিনোদন ডেস্ক : তিনি বরাবরই 'রহস্যময়ী' এক নারী। বড় পর্দাকে বিদায় জানিয়েছেন বেশ কিছু দিন আগেই। তবু আজও তার মতোই হতে চান যে কোনও উঠতি নায়িকা। তিনি বলিউডের পর্দা কাঁপানো, দর্শক হৃদয় ভোলানো নায়িকা রেখা। তার পুরো নাম ‘ভানুরেখা গণেশন’ তবে বলিউডে তিনি ‘রেখা’ নামেই পরিচিত। আপাত পক্ষে দেখে বোঝার উপায় নেই যে বয়স বাড়ছে না কমছে। দেখতে দেখতে ৬১ বছর কাটিয়ে ফেললেন তিনি। আজ শনিবার রেখা-র ৬১তম জন্মদিন। তার জন্মদিনে এমটিনিউজ ২৪.কম-এর পক্ষ থেকে রইলো শুভকামনা। শুভ জন্মদিন রেখা।
তিনি ‘খুবসুরৎ’, বলিপাড়ার অদ্বিতীয় ‘উমরাও জান’৷ তার ‘আঁখো কি মস্তিমে’ ডুব দিয়েছে ভারতীয় সিনেমার রুপোলি ইতিহাস৷ কেননা সেই ডুবসাঁতারের শেষে তার দৃষ্টিতেই যে ‘সাহিল মিলতা হ্যায়’৷ তিনি ভানুরেখা গণেশন, বলিউডের রেখা৷ তবে কে না জানে বলিউডের এ বিদ্যুৎ‘রেখা’র সামনে সময়ও হার মানে৷ আজও যেকোন নায়িকাকে জিজ্ঞাসা করা হোক অথবা এই কিংবদন্তি নায়িকার কোন চরিত্রে অভিনয়ের কথা বলা হোক এক কথায় রাজি হয়ে যান তারা।
১৯৬৬ সালে রাঙ্গোলা রত্নাম নামে একটি তেলেগু ছবির মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ১৯৭০ সালে শাওন ভাদো নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। যদিও প্রথম দিকে তার কিছু ছবি সাফল্য পায় কিন্তু সত্তর এর দশকের মাঝের দিকে রেখা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন।
এই গুণি অভিনেত্রী প্রায় ৪০ বছরের অভিনয় জীবনে ১৮০টির উপরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেন, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ও একবার শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী হিসেবে। ১৯৮১ সালে উমরাহ জান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেন।
রেখা তামিল অভিনেতা গেমিনী গনেশন ও তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাভ্যাল্লীর ঘরে ভারতের চেন্নাইয়ে (পরে মাদ্রাজ) ১০ অক্টোবর, ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহন করেন। বড় হয়ে রেখা তার বাবার পদচিহ্ন অনুসরন করেন। যদিও তিনি অর্ধেক তামিল এবং অর্ধেক তেলেগু কিন্তু তিনি তার বাড়িতে তেলেগু ভাষাতেই কথা বলেন। এছাড়াও রেখা ইংরেজি, হিন্দি এবং উর্দো ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারতেন। রেখার পিতামাতা বিবাহিত ছিলেন না এবং শৈশবে তার পিতা তাকে স্বীকার করেননি। শৈশবেই রেখা স্কুল ত্যাগ করেন এবং অভিনেত্রী হিসেবে তার ক্যারিয়ার গঢ়ে তোলেন।
রেখা ১৯৯০ সালে দিল্লীর প্রখ্যাত শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেন। এক বছর পর যখন রেখা অমেরিকাতে তখন মুকেশ কয়েকবার চেষ্ঠার পর আত্মহত্যা করেন এবং চিরকুটে লিখে যান কারো দোষ নেই। এর অগে ১৯৭৩ সালে মিডিয়াতে খবর রটে রেখা অভিনেতা বিনোদ মেহরাকে বিয়ে করেছেন কিন্তু ২০০৪ সালের একটি টেলিবিশন চ্যানেলে ‘সীমী গরেওয়াল’ এর সাথে কথপোকথনের সময় রেখা মেহরাকে বিয়ে করার কথা নাকচ করে দেন এবং তাকে একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে উল্লেখ করেন। বর্তমানে রেখা মুম্বাই এর বান্দ্রায় তার নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। সুত্র : উইকিপিডিয়া
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/