অভিনয়ের জন্য সফল পেশা ছেড়েছেন যে বলিউড তারকারা

বিনোদন ডেস্কঃ বলিউডের তারকারা কেউ কেউ সম্পন্ন করেছেন উচ্চতর ডিগ্রি। পেশাভিত্তিক পড়াশোনা করেও অনেকে ক্যারিয়ার গড়েছেন রুপালি পর্দায়। অভিনয়ের নেশায় ছাড়তে হয়েছে পেশাকে।

অভিনয়ের নেশা মনে থাকলেও প্রথম জীবনটা কিন্তু শুরু হয়েছিল ভিন্ন এক জগতে। তবে নেশার টানে আবারও ফিরে এসেছিলেন অভিনয়ের দরজায়। বলিউডে এমন তারকার সংখ্যা কম নয়।

 

অমিতাভ বচ্চন:
বলিউডের শাহেনশা তিনি। প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় জীবন। কিন্তু কর্মজীবনের শুরুতে রেডিও জকি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন বিগ-বি। যদিও ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ তার কণ্ঠস্বর প্রত্যাখ্যান করে। কলকাতার একটি শিপিং কোম্পানিতেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন অমিতাভ। পরে অভিনয়ের নেশাকেই পেশাতে পরিণত করেন তিনি।

অক্ষয় কুমার:
বলিউডে আসার আগে ব্যাঙ্ককে মার্শাল আর্টসের ট্রেনিং নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। রেস্তোরাঁর সেফ হিসেবে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। ট্রেনার হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্ম জীবন। কিন্তু, বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেননি অক্কি। নেশার টানে ছেড়েছিলেন ব্যাঙ্ককের সফল ক্যারিয়ার।  

সোনাক্ষী সিনহা:
কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে ভালই জনপ্রিয় হয়েছিলেন সোনাক্ষী। ২০০৫-এ ‘মেরে দিল লেকে দেখো’ ছবির পোশাক ডিজাইনার ছিলেন দাবাং গার্ল। কিন্তু অভিনয়ের জন্য ছেড়ে দেন সেই পেশাও।

পরিণীতি চোপড়া:
পড়াশোনায় বরাবরই ছিলেন প্রথম সারিতে। কলেজের পাঠ চুকিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের মার্কেটিং বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এই নায়িকা। অভিনয়ের জন্য পরে ছেড়ে দেন সফল  ‌ক্যারিয়ার।

দীপিকা পাড়ুকোন:
 বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। ছোট থেকেই খেলার আবহে বড় হয়ে ওঠা দীপিকাও ব্যাডমিন্টনে যথেষ্ট পারদর্শী। কিন্তু নেশা অভিনয়ের টানে খেলাকে খুব একটা আমল দেননি কোনও দিনই।

আমিশা প্যাটেল:
অর্থনীতির স্নাতক আমিশা পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছিলেন। গোল্ড মেডেল নিয়ে কলেজ পাশ করে ইকোনমিক অ্যানালিসিস্টের কাজ করতেন আমিশা। কিন্তু অভিনয়ের জন্য ছেড়েছিলেন সফল পেশাও। বাবার বন্ধু পরিচালক রাকেশ রোশনের হাত ধরে সুপার ডুপার হিট ছবি ‘কহ না প্যায়ার হ্যায়’-এ প্রথম আত্মপ্রকাশ বলিউডে। আর ফিরে যাননি পুরনো পেশায়।
 
রণবীর সিং:
বলিউডে আসার আগে একটি বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কপি রাইটার হিসেবে কাজ করতেন রণবীর। কিন্তু পরে অভিনয়ের জন্য এই কাজ ছেড়ে দেন তিনি।

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি:
বাড়িতে আট ভাই-বোন। পেটের তাগিদে কেমিস্টের কাজ করতেন নওয়াজউদ্দিন। কর্মসূত্রে দিল্লিতে আসার পর থেকেই থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। মঞ্চেই হাতেখড়ি। কিন্তু প্রতিভা চিনতে ভুল হয়নি বলিউডের। অভিনয়ের নেশায় কেমিস্টের পেশাকে তাই গুড বাই বলেছেন নওয়াজ।

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা:
সফল মডেল হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ। শুধু তাই নয়, ‘মাই নেম ইজ খান’-এ করণ জোহরকে অ্যাসিস্টও করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের নেশায় মডেলিং হোক বা ডিরেক্টর সমস্ত পেশাকেই বিদায় জানান সিদ্ধার্থ।

বোমান ইরানি:
নিজেদের পৈতৃক বেকারির ব্যবসা ছিল তাদের। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে রুম সার্ভিসের কাজও করেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ভাইরাস। কিন্তু নেশা ছিল অভিনয়ের। মঞ্চে প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি। নেশার টানে বলিউডে পা দিতে বেশি সময় নেননি।-এবিপি আনন্দ
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম,জে