সোনু কি রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন?

বিনোদন ডেস্ক: আজানের শব্দও একটা সময় মিলিয়ে যায়। কিন্তু আজান ঘিরে সোনু নিগমের টুইট বিতর্কের রেশ কিছুতেই কাটছে না। এবার এর নেপথ্যে থাকা রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এক নেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, এতদিন পর সোনু বুঝলেন যে আজানে তাঁর ঘুম ভাঙছে? আসলে কি তিনি বিজেপির হয়ে রাজ্যসভায় সাংসদ হতে চান? তার জবাবও দিলেন গায়ক। মুসলিম না হওয়া সত্ত্বেও কেন আজানের শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁর? কেনই বা ধর্মের নামে লাউড স্পিকারের ব্যবহার? এ প্রশ্ন তুলেই বিতর্কে জড়িয়েছেন সোনু। অনেকেই তাঁর টুইটকে ইসলামবিরোধী বলে চিহ্নিত করেছেন। তা নিয়ে পাল্টা নানা প্রশ্নও উঠেছে।

অনেকেই বলেছেন, হিন্দুদের অনুষ্ঠানেও তো রাতভর মাইক বাজে। তাহলে তাও কি নিষিদ্ধ হবে? বা এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে ডাক পেলে সোনু কি প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাখান করবেন? যদিও এ তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন সোনু। তাঁর সাফ কথা, ধর্মর নামে মন্দির ও মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানো বন্ধ হোক।

অনেকে এই মন্তব্যের জেরে তাঁকে ক্ষমা চাইতেও বলেছিলেন। সোনুর জবাব, মুসলিমবিরোধী কোন কথাটা তিনি বলেছেন তা দেখালে তিনি নিশ্চয়ই ক্ষমা চাইবেন। তিনি যে তাঁর বিতর্কিত টুইটে গুরুদ্বারের কথা উল্লেখ করেছিলেন সে কথা কেন ভুলে যাওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্নও তুলেছেন সোনু।

এদিকে এ নিয়েই সোনুকে আক্রমণ করেন ইন্দ্রাণী মিশ্র নামে এক যুবনেত্রী। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট জানাচ্ছে, তিনি যুব কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির সাংসদ হওয়ার জন্যই কি এসব করছেন সোনু? উত্তরে গায়ক জানান, তাঁর সে স্বপ্ন নেই। সেই সঙ্গে সঠিক ইংরেজি লেখার দিকটিও ধরিয়ে দেন।

এরপর সোনু মানসিক অস্থিরতা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন এই বলেই ব্যঙ্গ করেছিলেন নেত্রী। জবাবে সোনু কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, ব্যাকরণে ভুল এমন ইংরাজি না বলে বরং হিন্দিতে টুইট করাই ভালো।

কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, আজানের জন্য লাউড স্পিকারের প্রয়োজন নেই। ইসলামে কোথাও সে কথার উল্লেখ নেই। তাঁর দাবি ছিল, আজকাল ফোনেও আজান থাকে। তার জন্য লাউড স্পিকার ব্যবহার করার কোনো দরকার দেখেননি তিনি। যুবনেত্রীর এ টুইটে পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বর্ষীয়ান নেতাকেও মানসিক সুস্থিতিহীন বললেন তিনি?
১৯ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস