বিনোদন ডেস্ক: গুণী অভিনেত্রী সুচরিতা। বড় পর্দায় এখনো বেশ ব্যস্ততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকটা নীরবেই কাজ করছেন। শুটিং স্পট ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠানে তেমন তাকে দেখা যায় না। কাজ না থাকলে বাসাতেই সময় কাটান, কারো সঙ্গে তেমন কথাও হয় না তার। তবে ইদানীং সহকর্মীদের অনেক ফোন পাচ্ছেন তিনি।
সুচরিতা বলেন, সামনে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। তাই কয়েকদিন ধরেই অনেক ফোনকল পাচ্ছি। ভোটের সময় এ বিষয়টি সাধারণত ঘটে। আমার ভালোই লাগে। অবশ্যই ভোট দিতে যাব। অনেকের সঙ্গে দেখা হবে। দিনটি আমার কাছে উৎসবের মতো। মনে হচ্ছে বেশ জমবে এবার নির্বাচন।
তিনি আরো বলেন, একসময় আমিও নির্বাচন করেছিলাম, পাসও করেছিলাম। এটা একটা পিকনিকের মতো উৎসব। তবে শিল্পীদের কাজ অনেকটাই কমে গেছে। আর নির্বাচনের আগে সভাপতিসহ অন্য প্রার্থীদের যে ধরনের প্রতিশ্রুতিগুলো থাকে তা ঠিকঠাক করলে ভালো হতো সবার। নির্বাচন শেষ হলে তো সেগুলো আর দেখা যায় না। যাই হোক, তারপরও নির্বাচনটা আমি বেশ উপভোগ করি। সুচরিতা অভিনীত ‘মেঘকন্যা’ ও ‘ক্ষুদিরামের ফাঁসি’ নামে দুটি ছবি বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেবী হেলেন তার প্রকৃত নাম হলেও তিনি দর্শকের কাছে সুচরিতা নামেই পরিচিতি পান। ১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশি’ ছবি দিয়ে দর্শকের হৃদয় জয় করেন। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জনি’, ‘দাঙ্গা’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘কলমিলতা’, ‘জীবন নৌকা’, ‘নিশান’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘এখনো অনেক রাত’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘দ্য ফাদার’, ‘ত্রাশ’, ‘বদলা’, ‘চিৎকার’, ‘গাদ্দার’, ‘রকি’, ‘মাস্তান’, ‘জানোয়ার’, ‘সোনার তরী’, ‘আসামী’, ‘তুফান’, ‘কুদরত’, ‘সাক্ষী’, ‘আঁখি মিলন’, ‘অজান্তে’, ‘টাকা’, ‘ঘর সংসার’, ‘মহুয়া সুন্দরী’ ইত্যাদি। ১৯৯৭ সালে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান এই অভিনেত্রী।
২৪ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি