বৃহস্পতিবার, ০৬ জুলাই, ২০১৭, ০৮:৩৫:৫০

চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল : কণ্ঠশিল্পী আসিফ

চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল : কণ্ঠশিল্পী আসিফ

বিনোদন ডেস্ক : এবার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের চলমান সঙ্কট নিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এ নিয়ে আসিফ তার ফ্যানপেজে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল। অল্প কিছু হল এখনো জীবিত আছে, সেগুলো দখল করে চলছে যৌথ প্রতারণার অবৈধ ছবি। আমির খানের হিন্দি ছবি ‘সারফারোস’ ও ‘বাজী’ আর শাহরুখ খানের ‘বাদশাহ’ ছবিগুলোর ককটেল সংস্করণ নবাব, পোস্টারের ছবিটিও তেলেগু কপি (তথ্যসুত্র- একটি অনলাইন পত্রিকা)। ‘বস-২’ পুরোটাই বসগিরি করেই চালানো হয়েছে।

আসিফ লিখেছেন, বাংলাদেশে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওপারের মাড়োয়ারিদের সাথে সমঝোতা করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বানিয়েছে পলাশীর প্রান্তর। তাদের কাস্টিং, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, অর্থ বিনিয়োগ এবং প্রভাব প্রতিপত্তির লাগামহীন আগ্রাসন চলছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালাকে পদদলিত করে এদেশে শুরু হয়েছে মাড়োয়ারি (পুরনো সুদ ব্যবসায়ী মাউরা) ব্যবসা। সেই সঙ্গে হুন্ডির চালানে চলছে টাকা পাচার।

জনপ্রিয় এ সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ঢাকাই ছবিতে প্রভাব বেড়েছে ক্যালকেশিয়ান উচ্চারণের, দেখার লোক হঠাৎ অন্ধ, শোনার লোক বধির। জায়েজ করার চেষ্টায় দু’একজন দেশি সংগীতশিল্পী গেটিস হিসেবে গাইছে যৌথ প্রতারণার ছবিতে। বাংলাদেশের হাজারো শিল্পী গীতিকার সংগীত পরিচালকদের যোগ্যতা নেই যৌথ প্রতারণার ছবিতে কাজ করার, অবশ্য এ পরিস্থিতি তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে চামচামির মাধ্যমে।

আসিফ বলেন, মাড়োয়ারি অর্থায়নে এখনকার কিছু গুণীরা বিক্রি হয়ে গেছেন আরো আগেই। নিজের স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে সিদ্ধহস্ত এ জাতির পুরনো প্রেতাত্মার উত্তরসূরি তারা। ওই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পদলেহন কারীরাই ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত করে এ জাতিকে পড়িয়েছিলো গোলামীর জিঞ্জির।   আমার এসব কথা ভালো লাগবে না জানি। তারপরও মীরমদন, মোহনলাল আর ক্ষুদিরামের মত স্বাধীনচেতাদের চরিত্র কখনো বদলায় না, আমিতো সামান্য আসিফ। তবে অকাল প্রয়াত প্রিয় নায়ক মান্না ভাইকে মিস করছি কমরেড হিসেবে।

শাকিব খান প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, শাকিব বাংলাদেশের সেরা হিরো এই মুহুর্তে, যারা অস্বীকার করবে তাদের জন্য উপহার ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের জলের ঘোলা শরবত (পা’চাটা আঁতেল বাদে)। মাড়োয়ারিরা ব্রিটিশদের মতো খেলছে ‘DIVIDE N RULE’ গেম, সঙ্গে আছে দেশীয় দালাল প্রোডাকশান হাউসটি। এই বিভক্তির খেলায় জয়ী হবে মাড়োয়ারিরাই। বাংলা ছবির অস্তিত্বের জন্যই এই ব্যাপারটি শাকিবকেও বুঝতে হবে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারকেও বুঝতে হবে। আসুন নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি না করে দেশীয় ছবিতে মেধা খাটাই। নীতিমালা অনুযায়ী চলুক সিনেমা শিল্প।

দেশীয় প্রযোজনার ছবি রাজনীতি দেখার আহবান জানিয়ে আসিফ বলেন, মাড়োয়ারি আর লোকাল এজেন্টদের রাজনীতির ছোবল থেকে বাঁচাই আমাদের শাকিব-অপুর ‘রাজনীতি’ ছবিটি। চলুন সবাই হলে গিয়ে দেখি আমাদের আসল ঔরসজাত ছবি- ‘রাজনীতি’।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে