বিনোদন ডেস্ক: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচের কথা অজানা নয়। বলিউডে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা একথা স্বীকার করেছেন। মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতেও ছবিটা কিছু আলাদা নয়। অভিনেত্রী পার্বতী স্বীকার করেছিলেন কাস্টিং কাউচের কথা।
বলেছিলেন, মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতেও অভিনেতা অভিনেত্রীরা কাস্টিং কাউচের শিকার। এবার উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ (WCC)-ও একই কথা বলল।
এ বছর এপ্রিল মাসে পার্বতী বলেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে ও তাঁর মত একাধিকজনের কাছে বিছানায় যাওয়ার অফার এসেছিল। শারীরিক সম্পর্ক করতে বলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছিলেন, এমন ঘটনার শিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরাই হয়। অথচ এই মেয়েরাই পারে এর একটা বিহিত করতে। অফার এলে সরাসরি না বলে দিতে পারে। তাতে আজ না হোক কাল, এমন সমস্যার মুখোমুখি হবে না ইন্ডাস্ট্রির কোনও শিল্পী।
পার্বতীর কথার সমর্থন করেছে উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ (WCC)। কেরালার এই সংস্থা জানিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচ আছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য তারা সরকারের কাছে কমিশন নিয়োদ করার দাবি জানিয়েছে।
একটি ফেসবুক পোস্টে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা অ্যাসোসিয়েশন অফ মালায়ালাম মুভিজ (AMMA) আর্টিস্টদের সঙ্গে একমত নয়। AMMA-র মতে, কাস্টিং কাউচ অতীতে ছিল। কিন্তু এখন নেই।
এই মতের বিরোধিতা করে WCC জানিয়েছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখনও শারীরিক হেনস্তা থেকে মুক্ত নয়। একাধিক মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে ও বিভিন্ন ভাবে শারীরিক হেনস্তার শিকার হয়েছে। কেউ কেউ তো প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে। জানিয়েছে তাদের সঙ্গে কী ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
কাস্টিং কাউচ আটকানোর জন্য WCC-র প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে গিয়েছিলেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল। হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বে কমিশন তদন্ত শুরু করে।
WCC জানিয়েছে,‘আমরা ভেবেছিলাম সরকার নিযুক্ত হেমা কমিশন এই নিয়ে সঠিক তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে WCC ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাস্টিং কাউচ সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কাস্টিং কাউচ সম্পর্কে AMMA বলেছিল,‘যদি অভিনেত্রীরা ‘bad’ হয় তবে তারা ‘bed’ শেয়ার করবে।’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/ আ শি/এএস