হঠাৎ এফডিসিতে নায়িকা ময়ূরী
বিনোদন ডেস্ক : এককালের ঢাকাই সিনেমার আবেদনময়ী ও সমালোচিত অভিনেত্রী ছিলেন ময়ূরী। অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত নায়িকাদের শীর্ষে মুনমুনের পরেই ময়ূরীর নাম পাওয়া যায়। ১৯৯৮ সালে মৃত্যুর মুখে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন। নব্বইয়ের দশক থেকে এখন পর্যন্ত তার তিন শতাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে, যার প্রায় সবই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত।
মুনমুন যখন চলচ্চিত্র জগতের মধ্য গগনে তখন চলচ্চিত্রে একই শ্রেণীর ছবিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন চলচ্চিত্রের জুনিয়র শিল্পী সেতুর মেয়ে ময়ূরী। তাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন মাহমুদ নামে একজন প্রযোজক। ছবির পরিচালক ছিলেন কবি আবুল হাসানের ছোট ভাই প্রয়াত আবিদ হাসান বাদল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি নির্মিত হলেও ময়ূরী ছবিটিতে ছিলেন না। মৃত্যুর মুখের পর তিনি ক্যারিয়ার সজীব রাখার জন্য এমন একটি ঘরানার প্রযোজকদের ছবিতে জড়িত হতে থাকেন যারা কখনও ভালো ছবি নির্মাণ করেন না।
প্রায় তিনশ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ময়ূরী যার বেশীরভাগই সমালোচিত। সিনেমাগুলো হলো-মরণ কামড়, মরণ নিশান, টক্কর, বোবা খুনি, আজব গজব, ডাকু ফুলান, মৃত্যুর মুখেসহ অসংখ্য আলোচিত ছবির এই নায়িকা বর্তমানে অনেকটা নিভৃতে জীবন-যাপন করছেন।
নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ ছবিতে শক্তিমান চলচ্চিত্রাভিনেতা আলমগীরের স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ময়ূরী। অশ্লীলতার বিরুদ্ধে অভিযানের ফলে ময়ূরী কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি সার্কাসে কাজ শুরু করেন। যশোরে মধূমেলায় ‘নিউ সুপার সার্কাস পার্টি’ সার্কাসদলের গ্রীণরুমে তাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
নায়িকা ময়ূরীর স্বামী টাঙ্গাইলের একটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এফডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন একসময়কার আবেদনময়ী এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি অনেকটা সময় কাটিয়েছেন মেয়েকে নিয়েই। বেশ হাসিখুশি দেখা গেছে তাকে।
১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�