সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:৩৮:২৮

পুত্র বাপ্পির জন্য নায়করাজ পরিবারের অপেক্ষা

পুত্র বাপ্পির জন্য নায়করাজ পরিবারের অপেক্ষা

বিনোদন ডেস্ক : নায়করাজ রাজ্জাজের তিন ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাট। মেয়ে দুইজন- একজন থাকেন লন্ডনে, অন্যজন মারা গেছেন। নায়করাজের প্রয়াণের পরপরই তার প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও প্রবাসী ছেলে বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর।

রাজ্জাকের পরিবারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবার মৃত্যুর সংবাদটি দেরিতেই পেয়েছেন তিনি। তবে এখনও তিনি দেশে ফেরার জন্য উড়োজাহাজের টিকিট পাননি। ফলে কখন তিনি দেশে ফিরতে পারবেন, সেটা এখনই বলতে পারছেন না কেউ।

আর বাপ্পির দেশে ফেরার ওপরই নির্ভর করছে নায়করাজের বাকি আনুষ্ঠানিকতা। সবাই এখন অপেক্ষা করছেন বাপ্পির ফেরার জন্য।

বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে দাপুটে ও শক্তিশালী অভিনেতা রাজ্জাক সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।

হাসপাতালে থাকা পরিবারসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি এভাবেই ব্যাখ্যা করেন। তাই এখনও জানা সম্ভব হয়নি, কখন রাজ্জাকের মরদেহ বিএফডিসিতে নেওয়া এবং জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতি পূজা চলাকালীন সময়ে


মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ‘টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। তার দুই পুত্র বাপ্পারাজ ও সম্রাটও চলচ্চিত্র অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। ৬বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে