রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:২২:০০

প্রধানমন্ত্রীকে ধরে কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন অভিনেত্রী আনোয়ারা

প্রধানমন্ত্রীকে ধরে কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন অভিনেত্রী আনোয়ারা

বিনোদন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপালী পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। স্বামীর অসুস্থতার কারণে আনোয়ারা বেগম দুর্দশার মধ্যে জীবন-যাপন করছিলেন।

আনোয়ারা বেগমের দুর্দশার কথা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী রোববার বিকেলে গণভবনে তাকে ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

অভিনেত্রীর দুঃসময়ে তার পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী হাত জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন আনোয়ারা। প্রধানমন্ত্রীও তাকে পরম স্নেহে সান্তনা দিয়ে সাহস যোগান। এসময় আনোয়ারা বলেন, ‘আমি সম্প্রতি আপনাকে চারবার স্বপ্নে দেখেছি। তা সত্যে পরিণত হল। এটি অবিশ্বাস্য।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী পরিবার চালানোর জন্য আনোয়ারা বেগমকে ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং তার স্বামী মোহিতুল ইসলাম ফকিরের চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। মোহিতুল ইসলাম প্যারালাইসিসে ভুগছেন। এসময় আনোয়ারা বেগমের কন্যা রুমানা ইসলাম মুক্তি মায়ের সঙ্গে ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, সম্প্রতি একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের দুর্দশার কথা জানতে পারেন। আনোয়ারা সাহায্য চান না, বরং স্বামীর চিকিৎসার জন্য পাওনা টাকা চান। পাওনা টাকা আদায়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার ব্যক্তিগত সহকারীকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আজ আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে আনোয়ারা বলেন, শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছিলেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রী ‘এ বাড়ি ও বাড়ি’ মঞ্চ নাটকে বঙ্গবন্ধু’র জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সঙ্গে তার অভিনয়ের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘নাটকের রিহার্সেলের জন্য বেশ কয়েকবার আমি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে গিয়েছি।’

আনোয়ারা শৈশবে ঢাকার দিলু রোডে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘এই মহান নেতা ঐ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার বাবার সঙ্গে হাত মেলান।’

আনোয়ারা তার বাবাকে প্রশ্ন করেন, বঙ্গবন্ধু তাকে চেনে কিনা। জবাবে তার বাবা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে আমাকে নাও চিনতে পারেন, তবে তিনি আমাদের নেতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্ত কবি, শিল্পী এবং সাহিত্যিকদের সাহায্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এজন্য আমরা একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিকরা যাতে ভাড়া ও ক্রয় ভিত্তিতে সরকারি ফ্ল্যাট পেতে পারে সেজন্য তার সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে