বিনোদন ডেস্ক : পাত্রের বয়স মোটে ৯। পাত্রীর বয়স দ্বিগুণ। এরকমও হয়! প্রায় নজিরবিহীন ভাবনা উঠে এসেছিল ‘পেহেরেদার পিয়া কি’ নামে সিরিয়ালে। প্রোমো প্রকাশ হওয়া মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সিরিয়াল চালু হতে তো দর্শকের চক্ষু চড়কগাছ।
শুধু বিয়েই নয়, রীতিমতো হানিমুনেরও ব্যবস্থা হচ্ছিল। শুরু হয় বিরোধিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বিরূপ সমালোচনা। শেষমেশ চাপে পড়ে সিরিয়াল বন্ধ করতে বাধ্য হল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সোনি টিভির এই সিরিয়াল নিয়ে গোড়া থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল দর্শক। টিআরপি-র খাতিরে এমন শো কেন প্রচার করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জমা পড়ে পিটিশন।
প্রতিবাদ পৌঁছয় সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক স্মৃতি ইরানির কানেও। তখনই ব্রডকাস্টিং কনটেন্ট কমপ্লেইন্টস কাউন্সিলকে ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি। সাধারণ মানুষের আরজি ছিল, জনপ্রিয়তা কুড়োতে কোনওভাবেই বাল্যবিবাহের প্রচার বাঞ্ছনীয় নয়। চাপের মুখে পড়ে প্রথমে শোয়ের টাইম বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল শো। ২৮ আগস্ট নির্ধারিত সময়ে কোনও এপিসোড সম্প্রচারিত হয়নি। এরপরই অনুমান করা হয়, চাপের মুখে এই সিরিয়ালকে সরিয়েই দিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ কলাকুশলীরা। শোয়ের সময় পালটে সিরিয়াল চলবে এমনটাই আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু চ্যানেল কর্তৃপক্ষর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিনেতা জিতেন লালওয়ানি জানান, সিরিয়াল যখন সম্প্রচারিত হয়নি, তখন নিষিদ্ধ হয়েছে এ খবর সত্যি বলেই ধরতে হবে। অতএব আপাতত বন্ধ এই সিরিয়াল, এরকমটাই ধরে নিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষরা। কিন্তু আচমকা নেওয়া এই সিদ্ধান্তে কাজ হারালেন বহু টেকনিশিয়ানও। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তো আছেনই। সব মিলিয়ে চ্যানেলের এই সিদ্ধান্তে বেশ অখুশি কলাকুশলীরা।
এমটিনিউজ/এসএস