বিনোদন ডেস্ক : ১৯৭০ থেকে ৯০ সাল। মোটামুটি এই সময়কালে বলিউডের হার্টথ্রব ছিলেন জ়িনাত আমান। তার অভিনয়, সৌন্দর্য মুগ্ধ করত দর্শকদের। কিন্তু, প্রেমিকা হিসেবে সুখী ছিলেন না।
দিনের পর দিন প্রেমিকের হাতে মার খেয়েছেন। প্রতিবাদ করতে পারেননি। মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে। অথচ বিয়ে করেছিলেন সেই প্রেমিককেই। তবে তা টেকেনি। মার সহ্য করেও ভালোবাসতে চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি জ়িনাত।
সালটা ১৯৮০। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে তখন জ়িনাত। প্রেমে পড়েন ফ্লপ হিরো সঞ্জয় খানের। সঞ্জয় তখন বিবাহিত। তিন সন্তানের বাবাও। কিন্তু, সেসব না দেখে সঞ্জয়কে ভালোবেসে ফেলেন জ়িনাত। আবদুল্লার সেট থেকে শুরু ভালোবাসা। ঘটনাটি যখন ঘটে তখন জ়িনাত লোনাভালায় শুটিং করছিলেন।
মুম্বাই থেকে ফোন করে জ়িনাতকে সঞ্জয় বলেন, আবদুল্লার একটি গানের কিছুটা অংশ নতুন করে শুটিং করতে হবে। সব কাজ ফেলে সে যেন চলে আসে। সেসময় জ়িনাত অন্য কাজের জন্য ডেট নিয়ে ফেলেছিলেন।
তিনি বলেন, তার পক্ষে আসা মুশকিল। এবার চটে যান সঞ্জয়। বদনাম দেন জ়িনাতকে। মুখের উপর বলে দেন, ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে জ়িনাতের। অপমানিত জ়িনাত একথা সহ্য করতে পারেননি। গোটা বিষয়টি বোঝানোর জন্য চলে আসেন সঞ্জয়ের বাড়িতে। বাড়িতে ছিলেন না সঞ্জয়। পার্টি করছিলেন তাজ হোটেলে।
সেখানে যান জ়িনাত। তবে তাকে দেখে রেগে যান নেশাগ্রস্ত সঞ্জয়। একটি ঘরে ডেকে নিয়ে শুরু করেন বেধড়ক মারধর। সে সময় সঞ্জয়ের স্ত্রী জ়ারিন ছিলেন সেখানে। তিনি প্রতিবাদ তো করেনইনি, বরং উৎসাহ দেন স্বামীকে। একটা সময় তিনিও জ়িনাতকে মারতে শুরু করেন।
স্বাভাবিকভাবে গোটা ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। তবে, মারধরের হাত খেকে কেউ বাঁচাতে আসেননি জ়িনাতকে। আর থাকতে না পেরে একজন হোটেল পরিচালক অভিনেত্রীর ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মদ্যপ সঞ্জয়ের হাত থেকে বাঁচান তাকে। ততক্ষণে জ়িনাতের মুখ রক্তাক্ত। চোখে জল। টানা আটদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল তাকে।
সেটাই প্রথমবার নয়। আগেও একাধিকবার প্রেমিকের হাতে অত্যাচারিত হয়েছিলেন জ়িনাত। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, একবার নাকি সঞ্জয় জ়িনাতের কোমরে লাথি মেরেছিলেন। সেই আঘাত এতটাই বেশি ছিল যে এক্স-রে করতে হয়েছিল। তবে এত নির্যাতিত হয়েও কোনওদিন সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি অভিনেত্রী। আবার বিয়েও করেছিলেন তাকে। যদিও সে বিয়ে টেকেনি।
এমটিনিউজ/এসএস