বিনোদন ডেস্ক : বিতর্কিত পাক মডেল কান্দিল বালোচ খুনে গ্রেফতার হলেন পাকিস্তানের প্রথম সারির ধর্মীয় নেতা আবদুল কাভি। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারি এড়াতে প্রথমে মুলতানের এক আদালতে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন মুফতি।
তবে, সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। উল্টো, তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারক। এর পরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তদন্তকারী অফিসার নুর আকবর জানিয়েছেন, কাভিকে ইতিমধ্যেই কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কান্দিল বালোচ হত্যাকাণ্ডে তার ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিম আজিমকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বোনকে খুনের কথা কবুলও করেছেন আজিম। এবং তার দাবি, পারিবারিক 'সম্মান' রক্ষার জন্যই তিনি এই খুন করেছেন।
সূত্রের খবর, খুনের কিছু দিন আগেই পাকিস্তানের প্রথম সারির ধর্মীয় নেতা মুফতি আবদুল কাভির সঙ্গে সেলফি পোস্ট করে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিলেন কান্দিল। রমজান চলাকালীন করাচির এক হোটেলের ঘরে তোলা এই ছবি পোস্ট হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
একটি ছবিতে ওই ধর্মীয় নেতার টুপিও মাথায় দিতে দেখা যায় কান্দিলকে। তুমুল বিতর্কের জেরে ওই ধর্মীয় নেতাকে ঈদের চাঁদ দেখার কমিটি থেকে বরখাস্ত করেছিল পাকিস্তান সরকার। কাভি সাফাই দিয়েছিলেন, ইসলাম নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি কান্দিলের কাছে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ বা পরিবারের মধ্যে থেকেও খুবই খোলামেলা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন কান্দিল। বিতর্কীত ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করতেও পিছপা ছিলেন না তিনি। খোলামেলা কথাবার্তার জন্য বহু বার বিতর্কে পড়েন তিনি। কিন্তু, নিজের অবস্থানে অটল থেকে গোটা ব্যাপারটাকে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে এক জন মেয়ে হিসাবে নিজের লড়াই বলেই দেখাতে চেয়েছেন কান্দিল।
২০১৬ সালের ১৫ জুলাই মুলতানে নিজের বাড়িতে উদ্ধার হয় পাক মডেল কান্দিল বালোচের মৃতদেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ হয়, তাকে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সকদের মতে, শ্বাসরোধের আগে তাকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল।
এমটিনিউজ/এসএস