স্পোর্টস ডেস্ক: মোটামুটি অগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকেই ফিসফাস কানাঘুষো চলছিল টেলিপাড়ায় যে ‘গোপাল ভাঁড়’ আসছে। টেলিপাড়ার হালকা গুঞ্জন জোরদার হতে আরও মাসখানেক সময় লাগল ঠিকই কিন্তু টিজার ও প্রোমো দেখার পরে একটাই প্রবাদ মনে আসে— ‘সবুরে মেওয়া ফলে’। টিজার ও লোগো তো জব্বর ছিলই, এবার মুক্তি পেল প্রথম প্রোমো। আর প্রোমোটি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শুধু সাড়া ফেলেনি, অনেকটা আশা জাগিয়েছে। বাংলা টেলিভিশনে রুচিসম্পন্ন এবং মননকে সমৃদ্ধ করে এমন ধারাবাহিকের সংখ্যা হাতে গোনা। ‘গোপাল ভাঁড়’-এর প্রোমো দেখে এবং টেলিপাড়া সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ৫টি কারণ সামনে এসেছে, যার ভিত্তিতে বলা যায় যে সত্যিই বাংলা টেলিভিশনে এক ঝলক তাজা বাতাস আনতে চলেছে এই নতুন ধারাবাহিক—
১. প্রথমত, এই ধারাবাহিকের বিষয়বস্তুই অনবদ্য। ‘গোপাল ভাঁড়’-এর চুটকি নয়, অষ্টাদশ শতকের সামন্ততান্ত্রিক সমাজে এক অসম্ভব মেধাসম্পন্ন শিশুর বেড়ে ওঠা দিয়েই এই কাহিনি শুরু। সেখানে দারিদ্র আছে, সামাজিক অবমাননাও রয়েছে। কীভাবে সেই সব কিছু পেরিয়ে বেড়ে উঠবে ‘গোপাল’ নামের শিশুটি এবং অবিরত ঘাত-প্রতিঘাতে আরও আরও ক্ষুরধার হবে তার বুদ্ধি সেটাই হবে ধারাবাহিকের মূল চুম্বক।
২. টেলিপাড়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধারাবাহিকের কাহিনি, গবেষণা ও চিত্রনাট্যের দায়িত্বে রয়েছেন সাহানা দত্ত, বাংলা টেলিভিশনের এই মুহূর্তে সবচেয়ে সফল ও প্রতিভাময়ী চিত্রনাট্যকারদের অন্যতম। ‘রাগে-অনুরাগে’, ‘ভুতু’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ থেকে ‘গোয়েন্দা গিন্নি’... একের পর এক মাইলস্টোন প্রযোজনার রূপকার তিনি। ‘গোপাল’-ও যে তাই ‘ভুতু’ বা ‘পটল’-এর মতো দর্শকের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবে, সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই খুব একটা।
৩. ধারাবাহিকটি পরে কোথায় পৌঁছবে জানা নেই। হয়তো এক-দেড় বছর পরে একটি টাইম লিপ ঘটবে। গোপাল আর শিশু থাকবে না, বড় হয়ে যাবে কিন্তু ততদিন পর্যন্ত তো শিশুকেন্দ্রিকই থাকবে। সত্যি বলতে কী, বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যে আজ থেকে কুড়ি বছর আগে যে গ্যাজেটবিহীন দামালপনা ছিল— আম-কাঁঠালের সুবাস-পুকুরপাড়-খোলা আকাশ-সবুজ ঘাসের আরামের যে শৈশব ছিল, তার আমেজ পাবেন দর্শক এই ধারাবাহিকে।
৪. ছোটদের জন্য ধারাবাহিক নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিচালকের ভূমিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারাবাহিকের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। বাংলা টেলিভিশনের স্বনামধন্য পরিচালক ইতিমধ্যেই শ্রেষ্ঠ পরিচালকের টেলি-সম্মান পেয়েছেন ‘পটলকুমার গানওয়ালা’-র জন্য। তাই তাঁর পরিচালনায় দর্শক যে একটি উচ্চমানের ধারাবাহিক দেখতে পাবেন, এমনটাই আশা করা যায়।
৫. পঞ্চম এবং প্রধান কারণ রক্তিমকে গোপাল চরিত্রের জন্য কাস্টিং। এতদিন রক্তিমকে নন-ফিকশন শোয়ের সাজানো শোপিস হিসেবেই দেখেছেন দর্শক। এবার তার সামনে অন্য চ্যালেঞ্জ। পরিচালক ও চিত্রনাট্যকারের তত্ত্বাবধানে থেকে ভাল অভিনয় তো সে করবেই। তবে তার মিষ্টিমধুর উপস্থিতিই যথেষ্ট!-এবেলা
এমটি নিউজ/আ শি/এএস