বিনোদন ডেস্ক: শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাসের ডিভোর্সের ব্যাপার নিয়ে এতদিন যে গুঞ্জন ছিল অবশেষে সেটি প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি অপুর বাসায় ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছেন শাকিব। মূলত কথিত বয়ফ্রেন্ড প্রসঙ্গ কারণেই এই ডিভোর্স নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, আমি খুবই অবাক হয়েছি বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে এমন গুজবে। বাপ্পী আমার ছোট ভাইয়ের মতো। সে আমাকে সম্মান করে। শাকিবকেও অনেক শ্রদ্ধা করে। সে আমার সিনেমার নায়ক হয়ে গেল বলেই যে আমার ঘরেরও নায়ক হয়ে যাবে এটা ভাবার তো কোনো অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, আমি যেমন অনেক নায়কের সঙ্গে কাজ করব তেমনি শাকিবও অনেক নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করছে। তবে কেমন করে বাপ্পীকে নিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের গুজব ছড়ানো হয় আমি বুঝি না। আমি মনে করি যারা বাপ্পীকে আমার প্রেমিক বানিয়েছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের মানসিক চিকিৎসা দরকার।
অপু আরও বলেন, এসব কথা বলে আমাকে ছোট করা হয়েছে। বাপ্পীকেও অপমান করা হয়েছে। কষ্টের ব্যাপার হলো শাকিব এসব গুজবের প্রতিবাদ না করে সব বিশ্বাস করেছে।
তিনি বলেন, বয়ফ্রেন্ডের যে কথাটা উঠেছে তাতে আমি রীতিমতো হেসেছি। প্রমাণ ছাড়া অহেতুক অভিযোগ করলে হাসি ব্যতিত আর কিছু করার থাকে না। সত্য একদিন প্রকাশ পাবে। আর যেদিন সত্য উন্মোচিত হবে, সেদিন অভিযোগকারীরা লজ্জা পাবে। এখানে অভিযোগকারী আমার নিজের স্বামী।
উল্লেখ্য, শাকিব-অপুর বিয়ে হয় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। কিন্তু নয় বছর বিয়ের খবর গোপন রাখেন এই তারকা জুটি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। এরপরই পর্দার বাইরে শুরু হয় কাহিনী।
গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব খান আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের চেম্বারে যান। তিনি স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে এই আইনজীবীর কাছে আইনগত সহায়তা চান। এরপর শাকিব খানের পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের অফিস থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় এই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়। তবে এই তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস