বিনোদন ডেস্ক: বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে বন্দিজীবন কাটছে অভিনেতা তাপস পাল। শনিবার তার বন্দিজীবনের এক বছর পূর্ণ হলো। খাতা-কলমে জেলে থাকলেও এক সময়ের রুপালি পর্দার নায়ক ও তৃণমূল বিধায়ক তাপস পাল বর্তমানে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে চার ঘণ্টা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় ৫৮ বছরের তাপসকে। সেই রাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নন্দিনী।
তাপসের আইনজীবী মিলন কানুনগো শুক্রবার জানান, কটক হাইকোর্টে জামিনের আবেদন নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। শীতের ছুটির পরে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রায় দেবেন বিচারপতি। আইনজীবী কানুনগো আরও জানান, গত এপ্রিলে নায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। তার আগে তার জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে দু’বার। তার পরেই জুলাইয়ে কটক হাইকোর্টে আবেদন।
কানুনগোর কথায়, তাপসবাবু অসুস্থ। জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি নামী অভিনেতা। জামিন পেলেপালিয়ে যাবেন না। সিবিআই কোনো কারণে ডাকলে আসবেন। ওই আইনজীবীর প্রশ্ন, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই তার মক্কেলকে এক বছর ধরে জেলে থাকতে হবে কেন?
এই মামলায় জড়িত অন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জামিন পেলেও তাপসের ক্ষেত্রে অন্যথা হচ্ছে কেন? সিবিআইয়ের যুক্তি, অন্যদের কেউ অবৈধ লগ্নি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন না। তাপস একজন বিধায়ক হয়েও রোজ ভ্যালির মতো বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার পরিচালক ছিলেন। এমনকি সেখান থেকে নিয়মিত বেতনও পেতেন।
সিবিআইয়ের দাবি, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে রোজ ভ্যালির যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন তাপস। এমন এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে মুক্তি দিলে তিনি বাইরে বেরিয়ে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সেই কারণেই বারবার তার জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে।
এমটি নিউজ/আ শি/এএস