বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:০৩:১৪

মুক্তির এত মাস পর বাহুবলীর মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক

মুক্তির এত মাস পর বাহুবলীর মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক

বিনোদন ডেস্ক :   “কাটাপ্পা নে বাহুবলী কো কিউ মারা?” ২০১৫ সালে এটাই ছিল সবচেয়ে চর্চিত প্রশ্ন। যার উত্তর পাওয়া গিয়েছিল ‘বাহুবলী’ ছবির সিক্যুয়েলে।

আর সেই উত্তরের খোঁজই এই দক্ষিণী ছবিকে করে দিয়েছিল সুপারহিট। ভারতীয় চলচিত্রের ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল পরিচালক এসএস রাজামৌলির এই ছবি। মুক্তির এত মাস পর এবার বাহুবলীর মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক।

‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং‘ দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। সেই ছবি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। তবে তাকেও ছাপিয়ে যায় ‘বাহুবলী ২: দ্য কনক্ল্যুশন।’ একাধিক ভাষায় মুক্তি পাওয়া সেই ছবিই এবার ঢুকে পড়ল আইআইএম-এর পাঠ্যসূচিতে। হ্যাঁ, প্রথম ছবি হিসেবে আমেদাবাদের বিজনেস স্কুলের কেস স্টাডিতে জায়গা করে নিলেন প্রভাস ওরফে বাহুবলী।

এর আগে কখনও কোনও ছবি আইআইএম-এর কেস স্টাডিতে পড়ানো হয়নি। বক্স অফিসে যেভাবে ঝড় তুলেছিল ‘বাহুবলী টু’, সেটিই আসলে পড়ার বিষয়। ছাত্রদের শেখানো হবে কীভাবে একটি ছবির সিক্যুয়েল কোনও ছবিকে ব্যবসায়িক দিক থেকে মজবুত করে। আর্থিকভাবে ভরাডুবির ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।

আইআইএম-এর অধ্যাপক ভারথন জানান, “নতুন শিক্ষাবর্ষেই ‘বাহুবলী টু’কে কেস স্টাডি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এবং কীভাবে একটি ছবির সিক্যুয়েল ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভজনক তা নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো হবে। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, একটি ছবির প্রথম পার্ট সবসময় সিক্যুয়েলের তুলনায় বেশি ভাল বলে বিবেচিত হয়।

কিন্তু ব্যবসার দিক থেকে সিক্যুয়েলে আর্থিক লাভ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ প্রযোজন দর্শকদের আগ্রহ ও বক্স অফিসের হাওয়া বুঝে সিক্যুয়েলের প্রযোজনায় হাত দেন।” এই বিষয়টিই বিস্তারিত বোঝানো হবে বিজনেস স্কুলের পড়ুয়াদের।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে