আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিউরে ওঠার মতো ঘটনা! রাগের বশে কিশোর ছেলের গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দিল মা। তারপর সন্তানের মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলল বাড়ির পাশের এক রবার বাগানে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর কীর্তি। ঘটনাটি কেরলের কোল্লাম জেলার।
গত মঙ্গলবার জয়ামল জব(৪২) নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে প্রবল ঝগড়া হয় তারই কিশোর ছেলে জিতু জব(১৪)-এর। ছেলে 'কটূকথা' বলায় ভয়ঙ্কর রেগে যান জয়ামল। কিশোর ছেলের কথায় রেগে গিয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড করর মা।
পুলিস সূত্রে খবর, রাগে উন্মাদ হয়ে জয়ামল প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ছেলেকে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। সেখানেই গলায় দুপাট্টা পেঁচিয়ে ছেলেকে খুন করে সে। এরপর ঘরের মধ্যেই শুকনো পাতা ও গাছের ডাল দিয়ে ছেলের দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে মা। এরপর সেই আধপোড়া দেহ পাশের রবার বাগানে ফেলে দিয়ে আসে।
ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে ফিরে জিতুর খোঁজ করেন বাবা জব জন। জয়ামল তাঁকে বলেন, জিতু বাজারে গিয়েছে। সন্ধ্যে হওয়ার পরও ছেলে বাড়িতে না ফেরায় দুজনে পুলিসের কাছে যান। আর তখনই পুলিসের জেরায় পুরো ঘটনা বেরিয়ে পড়ে।
প্রথমে পুলিসের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকে জয়ামল। জয়ামলের হাতে একটি পোড়া দাগ দেখা যায়। কিন্তু কীভাবে এমন দাগ হল তার শরীরে? ব্যাখ্যা দিতে পারেনি জয়ামল। তার পরই গোটা ঘটনা স্বীকার করে নেয় ওই মহিলা।
পুলিস বাড়ির অদূরেই জিতের চটি উদ্ধার করে। বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরে একটি রবার বাগানে উদ্ধার হয় জিতের অর্ধদগ্ধ দেহ। এদিকে জব জনের দাবি, জয়ামল মানসিকভাবে সুস্থ নন। তবে জিতু তার মাকে ঠিত কী বলেছিল তা এখনও পুলিস প্রকাশ করেনি। --জিনিউজ
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস