বিনোদন ডেস্ক : মেরিল স্ট্রিপ, মারগট রবির মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়েছেন। তবে মিলেছে সাধের অস্কারটি। এই তো সবে হাতে তুলেছিলেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় সোনার পুতুলটি। সেলিব্রেশনের রাতে তা আবার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল সেরা অভিনেত্রী ফ্র্যান্সেস ম্যাকডর্মান্ডের।
অস্কার নাইটে চুরি হয়ে যায় সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারটি। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য বমাল ধরা পড়ে যায় শ্রীমান চোর। তবে তার আগে ফলাও করে তা নিয়ে ছবি তুলে নিজের প্রাপ্তি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে দেয় সে।
জানা গিয়েছে, ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তির নাম টেরি ব্রায়ান্ট। ঠিক কী কাজ সে করে, তা কেউ জানে না। কিন্তু সেলিব্রিটি পার্টিতে ঘুরতে দেখা যায় তাকে। অস্কারের পর তারকারা আফটার পার্টিতে ব্যস্ত ছিলেন। কোনওভাবে সে পার্টিরও পাস ছিল টেরির কাছে। নিজের অস্কারটি একটি টেবিলে রেখে পার্টি উপভোগ করছিলেন ফ্রান্সেস।
সেই ফাঁকেই অস্কারটি সরিয়ে নেয় টেরি। সেটি হাতে নিয়ে আবার ছবিও তোলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করে নিজের হিসেবে দাবি করে সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে বলে। সেটি নিয়ে পার্টির অন্যান্যদেরও দেখাতে থাকে। তখনই এক ফটোগ্রাফারের সন্দেহ হয়। তিনিই নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে হেফাজতে নেওয়া হয় টেরি-কে।
জানা গিয়েছে, অস্কার-চোরকে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন ফ্রান্সেস। তবে পুলিশ তাকে ছাড়তে নারাজ। আপাতত গারদে ঠাঁই হয়েছে শ্রীমান চোরের। জামিন পেতে গেলে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে তাকে।
‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিসোরি’ ছবির জন্য এ বছর পুরস্কৃত হন ষাট বছরের মার্কিন অভিনেত্রী। এটি তার দ্বিতীয় অস্কার। এর আগে ১৯৯৬ সালে সোনার পুতুল হাতে তুলেছিলেন ‘ফার্গো’ ছবিতে অভিনয়ের সৌজন্যে।
সে ছবিতে এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। ‘থ্রি বিলবোর্ডস’-এ এক ধর্ষিতার মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। পুলিশের উদাসীনতায় যে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে পরিত্যক্ত ‘বিলবোর্ডস’কে বেছে নেয়।
এমটিনিউজ/এসএস