বিনোদন ডেস্ক : কিংবদন্তি নায়ক ফারুক। একাধারে তিনি নায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক। দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তার অভিনীত প্রায় নব্বই ভাগ চলচ্চিত্র ব্যবসা সফল হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬-এর তালিকা চূড়ান্ত করেছে জুরি বোর্ড। এখন তা মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। এরপর গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। জানা গেছে, এবারের পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন নায়ক ফারুক ও নায়িকা ববিতা।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে নায়ক ফারুকের ঝুলিতে লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাইসহ অসংখ্য ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন। অথচ ১৯৭৫ সালে অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘লাঠিয়াল’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার ছাড়া আর কোনো পুরস্কার জোটেনি তার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বেশ কয়েকবার পাবার কথা থাকলেও রাজনৈতিক কারণে বারবার তার নামটি বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফারুক।
এদিকে ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননার বিষয়টি নিয়ে খুশি নন ফারুক, এ নিয়ে ক্ষোভ করেছেন খ্যাতিমান এই অভিনেতা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মিয়াভাই খ্যাত নায়ক বলেন, ‘দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে আমাকে ১৯ বার সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিতে গিয়েও বাদ দেয়া হয়েছে। আমার অপরাধ ছিল আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। তাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার মানুষের জীবনে একবার আসে। এটা বার বার প্রদান করা হয় না। সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতি এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। পৃথিবীর সবদেশের নিয়ম হলো এই স্বীকৃতি দেয়া হয় একজনকে। একসঙ্গে দুজনকে দিলে প্রাপ্তির আনন্দটা ফিকে হয়ে যায়। এটি সম্মানের নামে অসম্মান করারই নামান্তর ও দুঃখজনক। আজীবন সম্মাননা আমাকে উৎসাহিত নয়, কষ্টে মনটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে’।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস