বিনোদন ডেস্ক : উঠতি মডেলের আত্মহত্যার চেষ্টা। দোতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই তরুণী। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মডেল তিয়াসা মজুমদার। তড়িঘড়ি তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিয়াসা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বেহালার সত্যেন রায় রোডে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মডেল। তবে আচমকা এমন কিছু ঘটতে পারে, তা বোঝা যায়নি। বেহালার বাড়িতে বাবা মার সঙ্গেই থাকতেন তিয়াসা। অনেকদিন ধরেই চুটিয়ে মডেলিংও করছিলেন। তবে কিছুদিন যাবৎ তার হাতে তেমন কাজ ছিল না। খিটেখিটে হয়ে গিয়েছিলেন। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিকিৎসকরাও এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি।
এদিকে শহরের মনোবিদরা জানিয়েছেন, আচমকা খ্যাতি যেমন মনোবল বাড়িয়ে দিতে পারে। তেমনই সেই খ্যাতি পড়তে শুরু করলে হতাশায় ডুবে যায় মানুষ। কি করে ফের প্রচারে থাকা যায়, তা নিয়ে শুরু হয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই অন্তর্দ্বন্দ্ব একটু একটু করে সেই মানুষকে হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। একটা সময় অবসাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহননেই শান্তি খুঁজে নেয় রোগী।
অনেক সময় উলটোটাও হয়। কাজের ক্ষেত্রে যদি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া জনিত পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলেও হতাশা আসতে পারে। দিনের পর দিন যদি এই কারণে নিজের তৈরি করা জায়গা হারাতে থাকে, তাহলে অবসাদ ঘিরে ধরে। বার কয়েক চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর রোগী একলা জগৎ খুঁজে নেয়। একটা সময় অবসাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
এই প্রতিযোগিতার বাজারে ব্যর্থতাকে মেনে নেওয়ার মতো মানসিক গঠন যেমন তৈরি করা জরুরি। তেমনই ব্যর্থতার বোঝাকে হালকা করার জন্য তা শেয়ারও দরকার। এক কথায় মনের কথা খুলে বলার মানুষ। তাহলেই এই ধরনের আত্মহত্যা ঠেকানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তিয়াসা মজুমদার ঠিক কোন ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন তা আগে জানা জরুরি। তাহলেই সমাধানের পথ খোঁজা যাবে।
এমটিনিউজ/এসবি