শুক্রবার, ০৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:১৬:৫২

সালমান মুসলিম তাই কারাদণ্ড হয়েছে: পাকিস্তান

সালমান মুসলিম তাই কারাদণ্ড হয়েছে: পাকিস্তান

বিনোদন ডেস্ক: অবশেষে কাটলো ১৯ বছরের প্রতীক্ষা। ২০ বছরের আগ মুহূর্তে ঘোষণা হলো আলোচিত সেই কৃষ্ণহরিণ হত্যা মামলার রায়। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান। পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

এরইমধ্যে বলিউডের অন্যতম দামি তারকা সালমানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সাধারণ কয়েদিদের মতোই তার সঙ্গে আচরণ করবে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, সালমানের কারাদণ্ড হওয়ায় তার কোটি কোটি ভক্তদের মতো হতাশ হয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফও। তিনি বলেছেন, সালমান মুসলিম তাই কারাদণ্ড হয়েছে। সালমানের দণ্ড হওয়ার পেছনে একটি বিস্ময়কর যুক্তি দেখিয়েছেন খাজা আসিফ। সালমানের ভাগ্যকে দোষারোপ করে তিনি বলেছেন, ‘খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে কারণ তিনি মুসলিম।’

পাকিস্তানের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল জিয়ো টিভির ‘ক্যাপিটাল টক’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হামিদ মিরের সঙ্গে আলোচনাকালে এ মন্তব্য করেন খাজা আসিফ। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ বছর আগের একটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করায় এটা প্রমাণিত হয় যে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা মূল্যায়িত হন না।’

পাকিস্তানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘তিনি যদি ক্ষমতাসীন দলের ধর্মের অনুসারী হতেন, তবে তাকে এত বড় শাস্তি দেওয়া হতো না এবং আদালতও তার সঙ্গে কোমল আচরণ করত।’

এদিকে, শোনা যাচ্ছে আগামীকালই জামিন পেতে পারেন সালমান খান। তবে আজকের রাতটুকু তাকে কাটাতে হবে সাধারণ কয়েদিদের মতোই। বিছানা হবে মেঝেতে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-কে একটি সিলিং ফ্যান দেওয়া হবে। কেননা যোধপুরে এখন অনেক গরম।

কারাগারের কর্মকর্তারা জানান, ওই কারাগারে সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কয়েদিদের চা-নাস্তা দেওয়া হয়। ওয়ার্ডের ভেতরে তাদেরকে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর তারা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কারাগারের ভেতরে ঘুরতে পারবেন। সে সময়ই রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়।

কারাগারের কর্মকর্তারা জানান, আর সব কয়েদির মতোই সালমানকে দেখা হবে। এই অভিনেতাকেও কারাগারের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। ‘বডিগার্ড’-খ্যাত এই অভিনেতাকে রাখা হবে ধর্ষণ মামলার আসামি কথিত ধর্মগুরু আসারামের পাশের সেলে। তবে সেখানে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য রাজস্থানে যান সালমান, সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবুসহ অন্যান্য সহশিল্পীরা। ১ এবং ২ অক্টোবর যোধপুরের কাছে কঙ্কনি গ্রামে তারা দুটি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণ হরিণ শিকার করেন বলে অভিযোগ উঠে। এরপর সরকার বাদী মামলাও হয়। সেই মামলায় অন্যরা বেখসুর খালাস পেলেও শাস্তির মুখে সালমান খান।

এদিকে বেআইনিভাবে জঙ্গলে ঢোকার অভিযোগে সালমান খান আর অন্য তিন তারকারে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯ নম্বর ধারাতে মামলা এখনো চলছে। সেটির রায়ও খুব দ্রুত হবে বলে জানা গেছে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে