মঙ্গলবার, ০৩ জুলাই, ২০১৮, ০৪:৫২:৩৩

'অনেক ছাড় দিয়ে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেছিলাম'

'অনেক ছাড় দিয়ে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেছিলাম'

বিনোদন ডেস্ক: ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। তাদের দুটি মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স ৭ আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে ৩ বছর।

বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন খোরশেদ। দীর্ঘদিন ৭ বছর সংসার করার পর চলতি বছরের মে মাসে হঠাৎ শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠান খোরশেদ।

এ বিষয়ে শ্রাবন্তীর অভিযোগ, ‘সত্য মিথ্যা অনেক কথা আসবে ,কিন্তু একজন মা আর একজন মানুষ হিসেবে আমার একটাই চাওয়া আমার সাথে আমার সন্তানদের সাথে কোনো অন্যায় না হোক। আমার বাচ্চারা ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় না হোক, এর রেজাল্ট কখনোই ভালো হয় না। ভুল আমারও আছে, খোরশেদ আলমেরও আছে, তাই বলে ডিভোর্স করে আলম বাচ্চাদের সাথে আমার সাথে এমন অন্যায় করতে পারে না।’

এ অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘২৫ জুন দেশে এসেই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আমি মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে রামপুরা বনশ্রীতে আলমের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে আর বাচ্চাদের বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ঢাকায় আমার নিজের কোনো বাসা নেই। শেষে পরিচিতদের সহযোগিতায় এক মামাতো ভাইয়ের বাসায় যাই। এরপর এখন পর্যন্ত আলম আমার সঙ্গে, এমনকি বাচ্চাদের সঙ্গেও দেখা করেনি। বাচ্চাদের কোনো খোঁজ নেয়নি।’ এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে পরে খোরশেদ আলম জানান, ওই সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।

এদিকে শ্রাবন্তী স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগও করেছেন। এ ছাড়া গত ২৬ জুন রাজধানীর খিলগাঁও থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আর যৌতুকের মামলা করেছেন তিনি।

খোরশেদ আলম বলেছেন, ‘আমি অনেক ছাড় দিয়ে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেছিলাম। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর আমাদের বিয়ে হয়। শ্রাবন্তীর যেসব ব্যাপারে ছাড় দিয়েছি, তা থেকে শ্রাবন্তী এতটুকু সরে আসেনি।

এত দিন আমি ব্যাপারগুলো সামনে আনতে চাইনি, কারণ তা আমাদের কারও জন্যই ভালো হবে না। দিনে দিনে আমাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস নেই বললেই চলে। যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা শেষ হওয়ার আগেই আমি সরে এসেছি। আমি চাইনি আমাদের সম্পর্কের ক্ষতিকর প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়ুক।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে