শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮, ০৫:০৯:১৪

দিলদারের জানা-অজানা

দিলদারের জানা-অজানা

বিনোদন ডেস্ক: হাঁটা-চলা, বাচন ভঙ্গি, অভিনয়ের সাবলীলতার পরতে পরতে থাকতো আনন্দের ছড়াছড়ি। তিনি দিলদার। আজ ১৩ জুলাই দিলদারের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। নিরবেই চলে যায় এই অভিনেতার মৃত্যুদিন। জানা যাক দিলদার সম্পর্কে জানা- অজানা কিছু তথ্য:

১- ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ত্যাগ করেন। দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৫টি বছর। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। 

২- তিনি এসএসসি পাশ করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন।

৩- ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। অভিনয় করেছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’,‘অন্তরে অন্তর’,‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’,‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’,‘স্বপ্নের নায়ক’,‘আনন্দ অশ্রু’,‘শান্ত কেন মাস্তান’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে। 

৪- কমেডি অভিনেতা হিসেবে এতই জনপ্রিয় ছিলেন। তাকে নায়ক করে ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ হয়। তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন নতুন। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো ছবিতে ঠাঁই পাওয়া গানগুলো।

৫- সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। সে বছরই তিনি মারা যান।

৬. দিলদারকে কবর দেয়া হয় সানারপাড় এলাকায় (ডেমরা, ঢাকা)।

৭. দিলদারের স্ত্রীর নাম রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। পেশায় তিনি দাঁতের ডাক্তার। বিয়ে করেছেন অনেক আগেই। তাঁর ছেলে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন আর মেয়ে পড়ছে ক্লাস এইটে।

৮. দিলদারের ছোট মেয়ের নাম জিনিয়া আফরোজ। আগে একটি টেলিকমিনিকেশন কম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখানে থেকে চলে আসেন ব্রাক ব্যাংকে। পাঁচবছর চাকরির পর সেটিও ছেড়ে দেন। এরপর চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে যান এশিয়ান গ্রুপে। তখন সেখানে কর্মরত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। রিয়াজ তাকে উচ্চপদে চাকরী দেন। কিন্তু পরবর্তীতে শারিরীক অসুস্থতার জন্য সে চাকরীও করা সম্ভব হয়নি। তাঁর স্বামী মারা গেছেন অনেকদিন আগে। দুই সন্তানের জননী তিনি।

৯. সারুলিয়া (ডেমরা) তে একটা পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে দিলদারের। এখন চারতলা পর্যন্ত ভাড়া দেয়া এবং পাঁচ তলায় দিলদারের স্ত্রী থাকেন মাঝেমধ্যে। তবে দুই মেয়ের কাছেই বেশি থাকা হয় দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের।

১০. বিএনপি’র জাসাস (জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদ)’র সভাপতি ছিলেন দিলদার। মারা যাওয়ার পর প্রথম তিন-চার বছর সংগঠনটি দিলদারের মৃতুবার্ষিকী পালন করতো। তবে অনেকদিন ধরে তারা কোন কর্মসূচী পালন করে না দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকীতে।

১১- পরিবার সূত্রে জানা যায়, দিলদার মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেকেই খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু এখন মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁদের। বিশেষ করে কৌতুক অভিনেতা আনিসের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। এছাড়া নায়ক মান্না বেঁচে থাকতেও নিয়মিত খোজঁখবর নিতেন। এখন কেউ খোঁজ নেয় না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে