বিনোদন ডেস্ক: ঐশ্বরিয়াকে নাকি ‘পাগল’-এর মত ভালোবাসতেন সালমান খান। আর সেই কারণে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর শেষটাও একেবারে অন্যরকম চেয়েছিলেন সালমান। ফলে, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালীর সঙ্গে ওই সময় সালমানের অশান্তিও শুরু হয়।
‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর শেষে সালমান খানের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক ঐশ্বরিয়াকে। অর্থাত, সিনেমায় অজয় দেবগণ-এর সঙ্গে শেষে যেভাবে ঐশ্বরিয়া ফিরে গিয়েছিলেন, পরিচালকের সেই স্ক্রিপ্টে অসন্তুষ্ট ছিলেন সালমান। তিনি চেয়েছিলেন, সিনেমায় (সমীর) সালমানের কাছে (নন্দিনী) ঐশ্বরিয়াকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হোক। যদিও, সালমানের দাবি মেনে বনশালি ওই ধরনের কোনও দৃশ্যের জন্য রাজি হননি।ঐশ্বরিয়াকে আনার জন্য 'পাগল' হয়ে যান সালমান খান।
শোনা যায়, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর সময় থেকেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সালমান খান। ঐশ্বরিয়াকে ওই সময় ‘পাগল’-এর মত ভালোবাসতেন সালমান। আর সেই কারণেই ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর একেবারে ‘হ্যাপি এন্ডিং’ দাবি করেছিলেন বলিউড ‘ভাইজান’।
এদিকে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর পর থেকে যখন সালমান, ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করে, সেই সময় শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘দেবদাস’-এ অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। শোনা যায়, ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ে গিয়েও ওই সময় ঝামেলা শুরু করে দেন সালমান খান।
শাহরুখ খানের সঙ্গে কিছুতেই ঐশ্বরিয়াকে অভিনয় করতে দেবেন না বলেও গো ধরে বসে থাকেন সালমান। ওই ঘটনার ওই থেকেই সালমানের সঙ্গে শাহরুখের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে বলে শোনা যায়।
এদিকে সালমান খান তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন বলে, সম্পর্কের দু’বছর পর থেকে মুখ খুলতে শুরু করেন ঐশ্বরিয়া রাই। সাংবাদিক সম্মেলন করে ঐশ্বরিয়া প্রকাশ্যে বলেন, সলমনের আঘাতের দাগ তাঁর পিঠ থেকে এখনও ওঠেনি। কথায় কথায় সালমান তাঁর গায়ে হাত তুলতেন, মারধর করতেন বলেও অভিযোগ করেন রাই।
শুধু তাই নয়, সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর কাছে ‘দুঃস্বপ্নের’ মতো বলেও মন্তব্য করেন ঐশ্বরিয়া। যদিও, ঐশ্বরিয়ার একের পর এক অভিযোগের পরও এ বিষয়ে কখনও মুখ খুলতে দেখা যায়নি সালমান খান-কে।
সম্প্রতি ‘ফ্যানি খান’-এর প্রমোশনের জন্য সালমানের ‘দশ কা দম’-এর সেটে যান অনিল কাপুর। আর সেখানে ঐশ্বরিয়ার নাম শুনতেই মুচকি হাসি দেখা যায় সালমানের ঠোঁটে। যে ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই তা হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায়।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর