বিনোদন ডেস্ক : গতবারের মতো এবারও ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ প্রতিযোগিতায় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে বিচারক খালেদ হোসেন সুজন অনন্যাকে প্রশ্ন করেন, ‘H2O ও মানে কী?’ উত্তরে অনন্যা বলেছিলেন, ‘এইচ টু ও নামে ধানমণ্ডিতে একটি রেস্টুরেন্ট আছে।’ অনন্যার এমন উত্তরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা ট্রোলড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তি।
প্রিয়তি লিখেছেন, ‘একটি মেয়ে প্রথমবারের মতো এতো এতো দর্শকের সামনে, এতো এতো লাইটস, ক্যামেরার সামনে একটা উত্তর ভুল দেয়া বা ঠিক মতো না দেয়া বা না জানা কি অনেক বড় পাপের বা দোষের? হঠাৎ করে স্টেজে দর্শকদের সামনে কথা বলা কি এতোই সোজা? আপনারা কয়জন গিয়ে কথা বলতে পারবেন, কখনো ভেবে দেখেছেন?
বিচারকদের দু-একজন নিজেরাও কিছু ভুল বলেছেন, তা না হয় বাদই দিলাম। কারণ মানুষের ভুল হতেই পারে। মস্তিষ্কে ত্রুটি আমাদের সবারই হয়, টিভিতে বা কোনো শো বলে কেউ একশো ভাগ নিখুঁত বা পারফেক্ট হতে পারে না, এডিটিং ছাড়া।
আমি আগেও কয়েক জায়গায় বলেছি, আমাকে হঠাৎ করে কেউ প্রশ্ন করলে জানা উত্তরও আমি ভুলে যাই। এই সমস্যা ছোটবেলা থেকেই , যার কারণে স্কুলে, টিচারদের কাছে প্রচুর মার খেতাম, তাই বলে আমার এতদিনে যা যা শিখেছি, অর্জন করেছি, সব কি জিরো?
বিচারক তার প্রশ্ন তিনি তৈরি করে এনেছেন বা ভেবেছেন কি প্রশ্ন করবেন কিন্তু একজন প্রতিযোগীর মাথার রগের ভিতরে রক্ত দৌড়াতে থাকে, প্রশ্ন কি হতে পারে বা কোথা থেকে হতে পারে, তখন ব্রেইন এতো ডিরেক্সন পেয়ে নিজেই শুন্য হয়ে বসে থাকে, ব্যাপারটি কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনাদের সময় দিতে হবে তৈরি হওয়ার, অভ্যস্ত হওয়ার।’