বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:০৪:২৮

যৌন মিলনে রাজী না হওয়ায় মডেলকে...ঘটনায় চারদিকে হইচই...

যৌন মিলনে রাজী না হওয়ায় মডেলকে...ঘটনায় চারদিকে হইচই...

বিনোদন ডেস্ক: গত সোমবার মুম্বাইয়ের উঠতি মডেল মানসী দীক্ষিতের খুনের ঘটনায় চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সহপাঠী এক বন্ধু মোজাম্মেল সাঈদ সোমবারের এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানায়। সে নিজের দোষও জেরায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করা হয়।

জানা গিয়েছে, শুধু দোষ স্বীকার করাই নয়, কেন মানসীকে সে খুন করেছে, সেটাও মোজাম্মেল জানিয়েছে। পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, মানসী সোমবার মোজাম্মেলের বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে সহবাস করতে বলে মোজাম্মেল। তাতে মানসী রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় চেয়ার তুলে তার মাথায় আঘাত করে মোজাম্মেল।

এরপরে দেহ স্যুটকেসে বন্দি করে ক্যাব বুকিং করে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পথে মালাডের শুনশান রাস্তায় দেহ ফেলে চম্পট দেয়। পরে সেই ক্যাবচালক স্যুটকেস দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে মোজাম্মেলকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

মানসী রাজস্থানের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকতেন। মোজাম্মেল হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তবে থাকত মুম্বাইয়ে। সে জেরায় জানিয়েছে, সোমবার মানসী তার বাড়িতে আসেন। তবে সে সহবাসের প্রস্তাব দিলে তাতে মানসী রাজি হননি। তাতে রেগে গিয়ে মোজাম্মেল মানসীর মাথায় আঘাত করে। সংজ্ঞাহীন মানসীকে দেখে পরে মোজাম্মেল ভয় পেয়ে যায়। কারণ তখন তার মা বাড়ি চলে আসতে পারত। ফলে দেহ স্যুটকেসে ভরে সে বিমানবন্দরে যেতে রাস্তার পাশে ফেলে আসে।

পুলিশ এই মুহূর্তে আরও প্রমাণ জোগাড় করে চলেছে। পুলিশের দাবি, যা প্রমাণ জোগাড় হয়েছে, ও জোগাড়ের চেষ্টা চলছে তাতে মোজাম্মেলের আইনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। শুধু জবানবন্দি নেওয়াই নয়, হত্যাকাণ্ডের প্রমাণও পুলিশ প্রায় জোগাড় করেই ফেলেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে