সালমানের মামলার হাইকোর্টের রায় আজ
বিনোদন ডেস্ক : সত্যিই কি বলিউড স্টার সে রাতে অন্যমনস্ক ছিলেন? আর তার পর নিজেই চালিয়েছিলেন সাদা ল্যান্ডক্রজার গাড়িটি? এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়িটি উঠেযায় ফুটপাতে আর সে গাড়ির নিছে চাপা পড়ে নিহত হন একজন এবং অাহত হয়েছিলেন চারজন। এই সব প্রশ্নে সালমান খান ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত মে মাসে মুম্বাই নগর দায়রা আদালত তার পাঁচ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশও শুনিয়েছিল। কিন্তু, সেই রায়ের বিরুদ্ধে সালমান বম্বে হাইকোর্টে আপিল মামলা করেন। এ দিন তারই রায় ঘোষণা করবে আদালত। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
২০০২-এর ২৮ সেপ্টেম্বর। রাত প্রায় দু’টার দিকে মুম্বাইয়ের জুহুর ‘রেন’ থেকে বেশ কিছু চিংড়ি ও মুরগির ভাজাভুজি খেয়ে নিজের গাড়ি চালাচ্ছিলেন সালমান। তার সঙ্গে ছিলেন দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাটিল। সেখান থেকে তারা প্রথমে জুহুরই একটি পাঁচ তারা হোটেলে যান। সেখানে কিছু ক্ষণ কাটিয়ে বান্দ্রায় তার ফ্ল্যাটের দিকে গাড়ি ঘোরান সালমান। ফ্ল্যাটের কাছাকাছি এসে আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির সামনের ফুটপাথে উঠে যায় তার গাড়ি। চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক জন মারা যান। গুরুতর ভাবে আহত হন চার জন। ওই রাতেই মুম্বাই পুলিশের কাছে পাটিল অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সালমানকে গ্রেফতার করা হলেও সে দিনই তাকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। ন’দিন পরে অবশ্য আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সালমান। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মুম্বাই পুলিশ। চলতে থাকে মামলা।
এর পর ২০০৭ সালে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান রাজেন্দ্র পাটিল। তার মৃত্যুর পরে উপযুক্ত সাক্ষ্যের অভাবে ধামাচাপা পড়ে যায় সালমানের সেই মামলা। ২০১১ সালে সালমানের বিরুদ্ধে আরো কঠিন ধারা প্রয়োগের আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী। এই সময় হঠাৎই সালমানের গাড়ির চালক অশোক সিংহ দাবি করেন, সে রাতে তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
কিন্তু, এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। শুনানি শেষে বিচারক গত ৬ মে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। যদিও সালমানের আইনজীবীরা মুম্বাই হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আপিল করেন। গোটা বিচারপর্বেই সালমান জামিনে ছিলেন এবং নিম্ন আদালতের রায়ের কপি এখনও হাতে পাননি, তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে আরও সময় দরকার বলে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর দু’দিন পরে হাইকোর্ট জানায়, আপাতত জামিনে মুক্ত থাকতে পারবেন সালমান। কেন না, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলা শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট।
এর পর ওই আপিল মামলা গৃহীত হয়। এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর সালমানের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা শুনানির জন্য আবেদন জানান রবীন্দ্র পাটিলের মা সুশীলা দেবী। কিন্তু, পর দিন সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদলতের একটি বেঞ্চ।
এ দিন মুম্বাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বজায় রাখে, নাকি নতুন কোনও রায় শোনায়— সে দিকেই তাকিয়ে বলিউড-সহ সালমানের সকল ভক্তরা।
৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�