হাউমাউ করে কেঁদে দিলেন সালমান খান!
বিনোদন ডেস্ক : চলতি বছরের ৬ মে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল সালমানের রায় নিয়ে, অভিযুক্ত করা হয়েছিল বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। নিন্ম আদালত রায় দিয়েছিল ৫ বছরের কারাদণ্ড। সেদিনের মুম্বাইয়ের নিন্ম আদালত যখন তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন কোটি কোটি হৃদয়ে ঝড় তোলা এই সুপার স্টার, ভেঙে পড়ে তার কোটি কোটি ভক্ত-অনুরাগী। ঝড় উঠে দেশ-বিদেশের মিডিয়াতে।
১৩ বছর ধরে সেই ক্ষত বুকে নিয়ে দিন যাপন করছিলেন সালমান। বিয়েটা করতে ভয় পেয়েছেন, পাছে যদি কারাবাস করতে হয় সেই ভয়ে। অবশেষে ১৩ বছর পর গাড়ি চাপা দিয়ে পথচারী হত্যার ঘটনা-সংশ্লিষ্ট ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলা থেকে খালাস পেলেন বলিউড ভাইজান সালমান খান।
ওই মামলায় নিম্ন আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের যে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন, তা বৃহস্পতিবার ভারতের মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট বাতিল করে তাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
রায় শুনে আদালতে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন সালমান খান। দীর্ঘ ১৩ বছর তাকে এই মামলা লড়তে হয়েছে। রায়ের পর সালমান-ভক্তরা আদালতের বাইরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। রায় শোনার পর সালমানের বাবা সেলিম খানও আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কেঁদে ফেলেন।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে সালমান খানের গাড়ি মুম্বাইয়ের ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা কয়েকজন লোকের ওপর উঠে গেলে এক ব্যক্তি মারা যান এবং চারজন গুরুতর আহত হন। পরের মাসে সালমানের বিরুদ্ধে অসাবধানতাবশত তবে দণ্ডযোগ্য হত্যাকাণ্ডের (এটি সজ্ঞানে খুন করার মতো অপরাধ নয়) মামলায় অভিযোগ গঠন হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০০৩ সালের জুন মাসে হাইকোর্ট এই অভিযোগ থেকেও তাকে অব্যাহতি দিলে তাঁর বিরুদ্ধে বাকি থাকে শুধু বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ।
২০০৭ সালের অক্টোবরে মামলার প্রধান সাক্ষী মারা যান। ২০১৫ সালের মার্চে সালমান আদালতে বলেন, তিনি দুর্ঘটনার সময় মাতাল ছিলেন না এবং গাড়িও চালাচ্ছিলেন না। তবে ওই বছরের মে মাসে নিম্ন আদালত তাকে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা দেন। এরপরই সালমান হাইকোর্টে আপিল করেন এবং সবশেষে গতকাল খালাস পান।
১১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস