রায়ের আগেই রিপোর্ট ফাঁস
বিনোদন ডেস্ক : জিয়া খানের মৃত্যু তদন্তের চার্জশিট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হল CBI-কে। চার্জশিটের রিপোর্ট অভিযুক্ত সুরজ পাঞ্চোলির হাতে পৌঁছনোর আগে কীভাবে মিডিয়ার কাছে চলে গেল, এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বিচারকের প্রশ্ন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
CBI-এর চার্জশিটে প্রকাশ পেয়েছে মৃত্যুর আগে সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েছিলেন জিয়া। তার বয়ফ্রেন্ড সুরজ পাঞ্চোলি তাদের সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে নিজে হাতে সেই সন্তানটিকে নষ্ট করেছিলেন তার উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটের রিপোর্টে।
সেখানে বলে হয়েছে, 'মৃত্যুর দিনই সুরজের বাড়ি ছেড়ে চলে যান জিয়া। ওই বাড়িতেই গত দু-তিন দিন ধরে ছিলেন তারা। অন্য এক গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সুরজ তাকে মিথ্যে কথা বলছিলেন বলে অভিযোগ ছিল জিয়ার। তিনি বারবার সুরজকে এ ব্যাপারে মেসেজ করেছেন। পরে রেগে গিয়ে তিনি তার ব্ল্যাকবেরি অ্যাকাউন্ট থেকে সুরজের কনট্যাক্ট মুছেও ফেলেন। সেদিনই মাঝরাতে সুরজ তাকে ফোন করেছিল। প্রায় ৪০০ মিনিট কথা হয় তাদের। সুরজও জিয়াকে বেশকিছু মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, যেগুলি যথেষ্ট অবমাননাকর ও তাতে অভিযোগের সুরও ছিল।'
আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জিয়ার মা রাবেয়া খান। তিনি বলেছেন, 'আমি চাই প্রকৃত সত্য সামনে আসুক।' এই মামলার শুনানি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের জুহুর অ্যাপার্টমেন্টে ২০১৩ সালের ৩ জুন মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল জিয়া খানকে।
১১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�