আজও স্মৃতিতে অমলিন আলোচিত সেই স্মিতা
বিনোদন ডেস্ক : খ্যাতির শিখরে থাকাকালীনই মাত্র ৩১ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতের পদ্মভূষণে ভূষিত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল। ১৯৮৬ সালে ১৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হন তিনি।
দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হিসেবে তিনি তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর থিয়েটারে কাজের সময় ডাক আসে বড় পর্দার। মূলত এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক ছবিতে তখন নিজেকে মেলে ধরতে থাকেন আলোচিত এই নায়িকা।
সত্তরের মাঝামাঝি সময় থেকে আশির শেষ দিক পর্যন্ত হিন্দি, বাংলা ও মরাঠী সমান্তরাল সিনেমার চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবিতেও সমান সাবলীল ছিলেন স্মিতা। নাসিরুদ্দিন শাহ, ওম পুরী, শাবানা আজমিদের সঙ্গে দেশের সমান্তরাল সিনেমাতেও তখন নতুন যুগের ছোঁয়া।
‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’, ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, মির্চ মশালা’, ‘বাজার’, ‘অকালের সন্ধানে’, ‘মান্ডি’, ‘অর্ধসত্য’-এর মতো সমান্তরাল সিনেমা ছাড়াও ‘অর্থ’, ‘শক্তি’, ‘নমক হালাল’, ‘আজ কা আওয়াজ’— সবেতেই দাপুটে অভিনয় ছিল তাঁর।
পুণের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্রী স্মিতা দু’টি জাতীয় পুরস্কার-সহ ফিল্মফেয়ার পান। ’৮৫-তে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেন ভারত সরকার।
স্মিতার অভিনয় নিয়ে তার জীবনীকার মৈথিলী রাও লিখেছেন, ‘স্মিতা মেথড অভিনেতা ছিলেন না। নিজের অনুভূতি আর সহজাত প্রবণতাকে অনুসরণ করতেন তিনি।’
স্মিতা নন, পর্দায় তার চরিত্রই ছাপ রেখে যেত দর্শকদের মনে। এমন অভিনয় কী ভাবে করতেন তিনি?
মৈথিলী তার বইতে জানিয়েছেন, পরিচালকের হাতে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে ছেড়ে দিতেন স্মিতা। মৈথিলীর কথায়, ‘হার গ্রেটেস্ট অ্যাসেট ওয়াজ হার ইনটেনসিটি, ইনটেনসিটি বিকামস হার, ইনটেনসিটি ডিফাইনড হার।’
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন
�