শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:২১:০৪

হোলি উৎসবের রঙে রানওয়ে ম্যানিয়াক

হোলি উৎসবের রঙে রানওয়ে ম্যানিয়াক

বিনোদন ডেস্ক: হোলি মানেই রঙের খেলা। মানুষের মনে যতো রঙ আছে তা এ খেলার মাধ্যমে ফুটে ওঠে। একে অপরকে রঙ মাখিয়ে সবাই মেতে ওঠেন এ উৎসবে। ছোটদের কাছে উৎসবটি বেশি রঙিন। তবে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ নিজেকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে নেন।

বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন ছোটরা। উৎসব ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে রাধা গোবিন্দের পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। উলুধ্বনি, কাঁসার ঘণ্টা আর পুরোহিতের ঘণ্টায় মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। দিনব্যাপী চলে এসব অনুষ্ঠান।

সকাল থেকেই তরুণ-তরুণীরা রঙ হাতে নেমে পড়েন। রঙিন রঙে মাখিয়ে নেন নিজেদের। একে অপরের গায়ে মুখে রঙ মাখিয়ে নিজের চেহারাটা বদলে ফেলেন। এভাবে রঙ উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাল্টাপাল্টি করে রঙ দিয়ে আসেন একে অপরে।

বালতি বা অন্য কোনো বাসনে রঙ ভরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন তরুণরা। অনেকেই বাসাবাড়ির ছাদে অবস্থান নেন। সিরিঞ্জে রঙ ভরে বিভিন্ন বয়সী মানুষকে উদ্দেশ্যে করে সেই রঙ ছোড়া হয়।

ডিজাইনার বিপুল শর্মা, বলেন বংশ পরম্পরায় তারা এ উৎসব পালন করে আসছেন। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সকাল থেকেই রঙের খেলায় মেতে উঠেছেন সকলেই। নিজেরা নানা রঙে রঙিন হচ্ছেন। পাশাপাশি অন্যকেও রঙ মাখিয়ে এ উৎসবে শামিল করছেন।

হিন্দু শাস্ত্রমতে, চারটি যুগের মধ্যে বর্তমানে চলছে কলিযুগ। শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা বা দোল উৎসব দ্বাপরযুগ থেকে হয়ে আসছে। আর ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। এই তিথিতেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু জন্মগ্রহণ করেন বলে গৌরপূর্ণিমা নামেও একে অভিহিত করেন বৈষ্ণব বিশ্বাসীরা।

এদিনে বৃন্দাবনের নন্দন কাননে শ্রীকৃষ্ণ আবির এবং গুলাল নিয়ে তার সখী রাধা ও তেত্রিশ হাজার গোপীর সঙ্গে মেতে ছিলেন রঙের খেলায়।  সঙ্গে কৃষ্ণভক্তরা মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।

প্রচলতি কাহিনী অনুযায়ী, বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ একদিন রাধা তার সখীদের সঙ্গে খেলা করছিলেন। হঠাৎ রাধা এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে লজ্জায় পড়ে যান। রাধার লজ্জা ঢাকতে শ্রীকৃষ্ণ সখীদের নিয়ে আবির খেলা শুরু করেন। এসময় সবাইকে আবিরে রাঙিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা আবির খেলার স্মরণে হোলি উৎসব পালন করে থাকেন বলে প্রচলিত।

রানওয়ে ম্যানিয়াকের আয়োজনে এতে মডেলিং করেন, শারমিন, ইমন, রাজ, আরজু, ফাহিম, আসরাফ ও পরাগ।

বিষয় নির্ধারন ও শৈল্পিক পরিকল্পনা করেন বিপুল শর্মা এবং আলোকচিত্র ধারণ করেন খুরশেদ আলম।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে