বিনোদন ডেস্ক : স্ত্রীকে পিটিয়ে কারাগারে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ইতোমধ্যে দুদফা জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই জেলের ভেতর তার দিন কাটছে বসে, শুয়ে ও ঘুমিয়ে।
গত ৭ মার্চ জেলে যাওয়ার পর জনপ্রিয় এ ইউটিউবারকে শুধু একদিন দেখতে গিয়েছিলেন তার বাবার পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রী পক্ষের কেউ বা ভক্তরা একদিনও খোঁজও নেয়নি। এরপরও তিনি জেলে বসে বসে স্বপ্ন দেখছেন, চলচ্চিত্র তৈরি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী এবং মন্ত্রী হওয়ার!
বগুড়া কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার আবু সাদ্দাদ জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে হিরো আলমকে অধুমপায়ী সেলে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে বিভিন্ন মামলার তিন-চার জন হাজতি রয়েছেন।
গত ১৬ দিনের মধ্যে শুধু একদিন তার বাবার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে এসেছিলেন। তার স্ত্রী বা কোনো ভক্ত আসেনি। হিরো আলম সেলে চুপচাপ থাকেন। কখনো অন্য হাজতিদের সঙ্গে গল্প করে, বসে, শুয়ে ও ঘুমিয়ে সময় কাটান। তিনি বাইরের বা জেল ক্যান্টিনের না, বরং সরকারের বরাদ্দ জেলের খাবার খান।
হিরো আলম জেল কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলায় জামিন পাওয়া কোনো বিষয় না। শিগগিরই তিনি জামিনে ছাড়া পাবেন এবং মামলায় নিরাপরাধ প্রমাণিত হবেন। স্ত্রীর সঙ্গে সৃষ্ট ঝামেলা মিমাংসা করে নিবেন। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণে মনোযোগী হবেন।
হিরো আলম আরও জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর বগুড়া-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে তিনি তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ পেয়েছেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তার বিশ্বাস ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন।
এ ছাড়া জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতার কারণে তাকে মন্ত্রী করা হবে। আর মন্ত্রী হতে পারলেই নিজ এলাকা তথা বগুড়ার উন্নয়নে কাজ করবেন।
পুলিশ জানায়, যৌতুক না পেয়ে হিরো আলম গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমিকে মারধর করেন বলে অভিযোগ আছে। পরে শ্বশুর সাইফুল ইসলাম মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন সদর থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।