সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯, ০৮:০৬:১০

স্ত্রীর কবরের পাশে বসে কাঁদছেন শাহনাজ রহমতউল্লাহর স্বামী

স্ত্রীর কবরের পাশে বসে কাঁদছেন শাহনাজ রহমতউল্লাহর স্বামী

বিনোদন ডেস্ক : একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ এর মতো কালজয়ী গানগুলোর শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ। 

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি। এরপর শোকের ছায়া নেমে আসে তার পরিবার থেকে শুরু করে সঙ্গীতাঙ্গণে। শাহনাজ রহমতউল্লাহ’র স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ। 

স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ এখন ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন তিনি। শাহনাজের সঙ্গীত কেরিয়ারে সর্বদা পাশে ছিলেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে পাহাড়সম মানুষটি সবকিছুই বেশ সহজ আর সুন্দরভাবে সামলে নিচ্ছিলেন। কিন্তু বনানী সামরিক কবরস্থানে এসে কঠিন মানুষটি যেন আর নিজেকে যেন ধরে রাখতে পারলেন না। 

কিংবদন্তি শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহকে মাটি দেওয়া শেষে সবার সঙ্গে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনিও। হঠাৎ কী বুঝে যেন আবার ফিরে এলেন স্ত্রীর কবরে সামনে। দাঁড়িয়ে থাকতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না, বসে পড়লেন। এতো বছরের সঙ্গীকে একা রেখে যেতে হয়তো তার ভীষন কষ্ট হচ্ছিল। আর সেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। অনেকেই সেই ছবি শেয়ার করে সমবেদনা জানিয়েছেন।

শাহনাজ রহমতউল্লাহ বড় ভাই প্রয়াত সুরকার, সংগীত পরিচালক, ও শব্দসৈনিক আনোয়ার পারভেজের ছোট বোন। এবং তার আরেক ভাই জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী জাফর ইকবাল।

১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন শাহনাজ। ১৯৬৩ সালে ১০ বছর বয়সে ‘নতুন সুর’ নামক চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে প্রথম টেলিভিশনে তার গাওয়া গান প্রচারিত হয়। ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে